বিধানসভায় পিছল শুনানি
মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ না করে কীভাবে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এর তীব্র বিরোধিতা করে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিেজর আবেদন জানয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের শুনানি ছিল আজ। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ সেই শুনানি ৩০ জুলাই হবে বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ পিছিয়ে গিয়েছে শুভেন্দুর আবেদনের শুনানি।
আদালতে যাচ্ছে বিজেপি
মুকুল রােয়র বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মরিয়া বিজেপি। এবার দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবিতে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি শিবির। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে পারলেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করা যাবে বলে মনে করছেন শুভেন্দুরা। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বেসুরো বিজেপি বিধায়কদের সতর্ক করে শুভেন্দু বলেছিলেন বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করিয়ে তবেই ছাড়ব।
তৃণমূলে যোগ মুকুলের
বিজেপি হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু তার পর থেকেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেই ফাটল ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করে। শেষে জল্পনা মিলিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে ছেেল শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তবে বিজেপির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি মুকুল। উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির েচয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন।
মুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা। আদালতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি জানিয়ে মুকুলের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ দেবে বিজেপি। সেখানে মুকুলের অডিও ভিডিও টেপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টকেও হাতিয়ার করতে পারে বিজেপি। এমনই শোনা যাচ্ছে।