দীর্ঘ জল্পনার পর অবশেষে গোশালা তৈরিতে সবুজ সংকেত দিল কর্নাটক সরকার। সূত্রের খবর বৃহঃস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত জেলায় গোশালা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে কর্নাটকের মন্ত্রিসভা। প্রথম দফায় এই কাজে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকা। কর্ণাটককের কসাই এবং গবাদি পশু সংরক্ষণ আইন, ২০২০-র আওতায় পশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে।
তবে সমস্ত কাজের অগ্রগতি দেখেই মন্ত্রিসভার তরফে আরও অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আসভরাজ বোমাই। পাশাপাশি তিনি আরও জানান অন্যান্য গবাদিপশু রক্ষণাবেক্ষণের ভার হ্রাস করতে সহায়তার জন্য আসন্ন বাজেটে এ জাতীয় আরও বেশ কিছু স্কিম ঘোষণা করবে সরকার। পাশাপাশি বর্তমানে বাছুর রাখার গোশালা ১৮৪ তেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যজোড়া বিতর্কের মাঝে গত বছরের ডিসেম্বরে কসাই এবং গবাদি পশু সংরক্ষণ আইন, ২০২০-র প্রবর্তন করে কর্নাটক সরকার। যদি সেই সময় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করতে দেখা যায় কংগ্রেস ও জনতা দলকে(সেক্যুলার)। যদিও সেসবের তোয়াক্কা না করেই পাশ হয়ে যায় আইন। যদিও এই আইন নিয়ে এখনও বিতর্ক জারি রয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
মনোজ টিগ্গার জায়গায় এলেন মদন মিত্র, বিজেপির ছেড়ে যাওয়া কমিটির ৮ চেয়ারম্যানে নাম ঘোষণা
যদিও নয়া আইনে সব ধরণের গরু জবাই নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এমনকী আইন ভেঙে এই কাজ করলে 'অপরাধীদের’ কঠোর শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। আর তারপর থেকেই তা নিশ্চিত করতে মাঠে নামে পশুপালন ও ফিশারি বিভাগ। গবাদি পশু সংরক্ষণের জন্য তৈরি আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে বিশেষ পরিকাঠামো সহ রূপান্তরিত হতে থাকে গৌশালায়। অবশেষে রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই গৌশালা তৈরির চূড়ান্ত অনুমোদন মিলল সরকারের তরফে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!