মহেন্দ্র সিংকে বলা হয় ক্যাপ্টেন কুল। কিন্তু মাঠে আগ্রাসী মেজাজের দিক দিয়ে প্রথম থেকেই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির মধ্যে পূর্বসূরী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছায়া দেখতে পান অনেকেই। সে কারণেই সৌরভ ও বিরাটের অধিনায়কত্বের তুলনা টেনে হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। দুই অধিনায়ক দুই প্রজন্মের দুই পরিস্থিতিতে ভারতকে নেতৃত্ব দিলেও তর্ক-বিতর্ক থামে না। এবার তাতেই এক অন্য মাত্রা যোগ করলেন মহম্মদ কাইফ।
লর্ডসে সৌরভের নেতৃত্বে ভারতকে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতানোর অন্যতম কারিগর কাইফ এক সংবাদমাধ্যমে সৌরভ ও বিরাটের অধিনায়কত্বে গুরুত্বপূর্ণ তফাত খুঁজে বের করেছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দলে খুব বেশি রদবদল আনতেন না। সৌরভের নেতৃত্বে পাঁচ বছরে ভারতের টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকের দলে কোর গ্রুপ একই ছিল, সামান্য কিছু রদবদল হয়েছে। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, রাহুল দ্রাবিড়, জাহির খান, অনিল কুম্বলে, হরভজন সিংরা দুই ফরম্যাটের প্রথম একাদশেই নিশ্চিত ছিলেন। অথচ ২০১৮ সালের পর থেকে ভারতের টানা ৩৮টি টেস্ট ম্য়াচে দেখা গিয়েছে প্রথম একাদশে বদল এনেছেন বিরাট কোহলি। ২০১৮ সালে নটিংহ্যাম ও সাউদাম্পটন টেস্টেই শুধু এক দল খেলিয়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট।
কাইফ বলেন, সৌরভের সময় ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চ এতটা শক্তিশালী ছিল না। ২০-২৫ জনের পুল ছিল, তা থেকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ক্রিকেটারদের দলে নিতে হতো। কিন্তু এখন ভারতীয় ক্রিকেটারদের পুলে অনেক বেশি সংখ্যায় ক্রিকেটাররা রয়েছেন। আইপিএলের ইতিবাচক দিকের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু ঘনঘন পরিবর্তন হলে ক্রিকেটাররা নিরাপত্তাহীনতায় যে ভোগেন সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন কাইফ। তাঁর কথায়, একজন ক্রিকেটার যদি জানেন টানা চার-পাঁচটি ম্যাচে দলে তাঁর জায়গা পাকা তাহলে তিনি খোলা মনে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। কিন্তু যদি তাঁর মনে পরের ম্যাচেই বাদ পড়ার আশঙ্কা যদি থাকে তাহলে কখনোই তাঁর পক্ষে সেরাটা মেলে ধরা সম্ভব নয়। আমি নিজে যখন তরুণ ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দিয়েছি তখনও সেটাই করেছি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারত অধিনায়ক হিসেবে এটা দারুণভাবে নিশ্চিত করে সতীর্থদের ভরসা দিতেন আদর্শ অধিনায়কের মতোই। কিন্তু বিরাটের দল পরিচালন পদ্ধতি আলাদা, সেখানে এই গুণটা দেখা যায় না।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!