ক্ষোভ উগরে দেন মমতা
কবি গুরুর কবিতার লাইন তুলে ধরে রাজ্যকে আক্রমণ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্ট সামনে আসার পরেই কার্যত ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর দাবি, আদালতের বিচার্য বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। তবে উত্তরপ্রদেশের হিংসার ঘটনা ওদের চোখে আসেনা। সেই সময় সেখানে কোনও মানবাধিকার কমিশনকে পাঠানো হয় না। বাংলার মানুষকে অপমান করতেই মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
যা ঘটেছে সব ভোটের আগে
আজ বৃহস্পতিবার একাধিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে সেগুলি সবটাই ভোটের সময়। সেই সময় রাজ্যের কোনও ক্ষমতা ছিল না। আর ভোটের আগে সমস্ত ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে কারা এই রিপোর্ট তৈরি করেছে সবটাই আমি জানি! তাঁদের নামও আমি জানি! কিন্তু কিছু বলব না। সাংবাদিক বৈঠকে চাঞ্চল্যকর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মেজাজ হারান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কার্যত এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের এহেন রিপোর্ট নিয়ে কিছুটা মেজাজ হারান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, হেরেও ওদের লজ্জা নেই। এরপরেও ক্রমাগত কুৎসা -অপপ্রচার করে যাওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু সংস্থাকে দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বদনাম করা হচ্ছে। হারের পরেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেই সমস্ত এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। সাংবাদিক বৈঠকে এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ মমতার।
সুর চড়িয়েছেন সৌগত
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে সুর চড়িয়েছেন সৌগত রায়ও। তাঁর দাবি, এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভাবে অতিরঞ্জিত। রবীন্দ্র নাথের যে লাইন উল্লেখ করা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য তা জানেন ওরা?
তীব্র আক্রমন করেছেন মামলাকারী আইনজীবী
অন্যদিকে এই রায় প্রসঙ্গে সরকারকে তীব্র আক্রমন করেছেন মামলাকারী আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়াল। তাঁর দাবি, এই রিপোর্টে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে পুলিশ কিছু করেনি। বীরভূম, বর্ধমান সহ একাধিক জেলাতে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভয়ে ঘর ছাড়া বহু মানুষ। এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে গেল যে এই সমস্ত অভিযোগ সত্যি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আর নবান্নে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তামাসা দেখছে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।