নন্দীগ্রামে মমতার হার, 'পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীর' ট্যাগ!
ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই মমতার এক গামলা দুধে একফোঁটা চোনা নন্দীগ্রামের ফলাফল। বিরোধীরা সেই নিয়ে বারংবার কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। শুভেন্দু অধিকারী নিজে বারবার মমতাকে 'পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী' বলে বিঁধেছেন৷ তিনি তো বটেই, তাঁদের দলও চাইবে যাতে এই গঞ্জনা বহুদিন ধরে মমতাকে দেওয়া যায়৷ সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে কোনও প্রার্থীকে হয় বিধানসভা নির্বাচনে জিততে হয়, নাহয় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছ'মাসের মধ্যে বিধানসভায় জয়ী হতে হয়৷ মমতার হাতে আরও তিন মাস সময় রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের যে কোনও একটি আসনে উপনির্বাচনে জিততে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ভবানিপুর থেকেই ভোট লড়তে পারেন মমতা!
সূত্রের খবর, মমতা তাঁর এতদিনের গড় ভবানীপুর থেকেই লড়বেন। এই আসনে বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেক্ষেত্রে মমতার পক্ষে ভীষণ সহজ হবে ভবানীপুর থেকে জয় তুলে আনা। আর মমতা ভবানীপুরে দাঁড়ালে শোভনদেবও সরবেন খড়দহতে। এমনিতেই সেখানকার জয়ী বিধায়ক কাজল সিনহা ভোটের পরই প্রয়াত হয়েছেন। খড়দহের মাটি থেকেও জয় ছিনিয়ে আনতে অসুবিধা হবে না শাসকদলের৷
উপনির্বাচনের আগে বঙ্গ-বিজেপির টালমাটাল অবস্থা!
এই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির হাল মোটেও ভাল না। নেতা-কর্মী সমর্থক সকলেই প্রায় ছত্রভঙ্গ। মাঠে নেমে ভোটের প্রচারে ঝড় তোলার মতো শক্তিশালী সংগঠনের অভাব রয়েছে দলে। তাই গেরুয়া শিবিরের একমাত্র আশা যাতে কোনওভাবে এই উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায়। বিজেপি সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই কাজই করতে চাইছেন। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে এ বছর আর কোনও উপনির্বাচন না করার দাবিই তুলতে চলেছে বিজেপি৷
সম্মুখ সমরে না হলে, রাজনীতির পাশা-খেলা!
বিজেপির যুক্তি, বর্তমানে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোটেও আয়ত্তে নেই। এই সময়ে উপনির্বাচন করলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই কোনওভাবে উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া গেলে তা মানুষের পক্ষে মঙ্গলকর। আর সেটা যদি সম্ভব হয় তাহলে নিঃসন্দেহে বিরাট লজ্জার সম্মুখীন হবেন মমতা। তাঁকে ছাড়তে হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী পদও৷ এখন দেখা যাক বিজেপি সম্মুখ সমরে না হলেও রাজনীতির পাশা খেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করতে পারে কিনা!