রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে জানিয়েছে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাত করবেন। করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও ভোটের পর তিনি দিল্লি যেতে পারেননি। তাই যাচ্ছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার রাজ্যে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি যে আগে চিঠি দিয়েছিলেন, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর হতে পারে ৪ দিনের
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের সফর হতে পারে ৪ দিনের। মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ছাড়াও এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল,হ অন্য বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন। যেই কারণে তিনি দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছে। তাঁকে ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে নতুন কোনও ভূমিকায় পাওয়া যায় কিনা এখন তারই জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তৎপরতা প্রশান্ত কিশোরের
গতমাস একমাসে দিল্লিতে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। প্রশান্ত কিশোর একাধিকবার শারদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও প্রশান্ত কিশোর এবং শারদ পাওয়া দুজনেই বলেছেন এই আলোচনায় রাজনৈতিক কিছুই ছিল না, তবু মঙ্গলবার দিল্লিতে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে পিকের বৈঠকের পরে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর প্রশান্ত কিশোরের ঠিক করে দেওয়া বলেও মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেননা এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন বলে সূত্রের খবর।
দিল্লিতে গুরুত্ব বেড়েছে প্রশান্ত কিশোরের
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের নির্বাচনী জয়ের পরে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন, তিনি আর ভোট কুশলীর দায়িত্ব পালন করবেন না। তিনি নিজেকে ব্যর্থ রাজনীতিক বলে বর্ণনা করলেও, পরবর্তী একমাস সময়ে যে সক্রিয়া তিনি দেখিয়েছেন, কিংবা তাঁর সম্পর্কে যে তথ্য উঠে আসছে তা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বেক (অবশ্যই সনিয়া, রাহুল) সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন পিকে। কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করতে বেশ কিছু পরামর্শও নাতি তিনি দিয়েছেন। সেই সময় রাহুল গান্ধী তাঁকে নাকি বলেছেন, পরামর্শ নয়, সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দিতে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের যোগাযোগের কথা নাকি সম্প্রতি সামনে এসেছে। তা কংগ্রেস কেন তৃণমূলও নাকি জানতে পারেনি।
সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে ২০২৪-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্য রূপে দেখতে পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা তৈরি করবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলবে, তবে তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।