নন্দীগ্রাম মামলাতে চাঞ্চল্যকর মোড়! কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আর সেই মামলাতে শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ। এছাড়াও মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার নতুন করে বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। ভার্চুয়ালের মাধ্যমে এই মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে এদিন আদালতে দীর্ঘ শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত সবপক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অর্থাৎ নন্দীগ্রামের ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী সহ রিটার্নিং অফিসারকে এই নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকেও নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে মামলার শুনানিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ, মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নন্দীগ্রাম ভোট গণনার সমস্ত নথি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। ইভিএম সহ পোস্টাল ব্যালোট, ভিডিওগ্রাফি সহ সমস্ত কিছু সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালের মাধ্যমে উপস্থিত থাকলেও আগামিদিনে আর থাকার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। আগামী ১২ অগস্ট ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন সবপক্ষের কথা আদালত শুনবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে এই মামলা ঘিরে প্রথম থেকে বিতর্ক তরি হয়। এই মামলা প্রথমে শুনানি হওয়ার জন্যে যায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। কিন্তু সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বিচারপতি চন্দের এজলাসে মামলার সঠিক বিচার হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
আর এরপরে বিচারপতি এই হেভিওয়েট মামলা ছেড়ে দেন। একই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থা কুলষিত করার জন্যে পাঁচ লক্ষ টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জরিমানা করেন বিচারপতি চন্দের বেঞ্চ। বিচারপতি চন্দ এই মামলা ছেড়ে দেওয়াতে নিয়ম অনুযায়ী এই মামলা চলে যায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে।
প্রধান বিচারপতি নতুন করে নন্দীগ্রাম মামলাটির শুনানি হওয়ার জন্যে বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে পাঠানো হয়। সেখানেই আজ বুধবার থেকে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে ভোট গণনাতে কারচুপতি করা হয়েছে। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। আর এখানেই বিতর্ক। তৃণমূলের দাবি, বিচারপতি চন্দ একটা সময়ে বিজেপির হয়ে মামলা লড়তেন।
এমনকি দিলীপ ঘষের সঙেও ছবি আছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই মামলার শুনানি নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
খোদ প্রধান বিচারপতিকে এই বিষয়ে চিঠি লেখেন তিনি। দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নন্দীগ্রামের মতো হেভিওয়েট মামলা গত বুধবার ছেড়ে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!