২৫ জুলাই থেকেই কানোয়ার যাত্রা শুরু কথা
প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, আগামী ২৫ জুলাই থেকেই এই কানোয়ার যাত্রা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজল নেওয়ার উদ্দেশ্যেই কানোয়ার যাত্রায় সামিল হন। এছাড়াও একাধিক রাজ্যে গঙ্গা থেকে জল নিয়ে শ্রাবন মাসেই তা ঢালা হয় শিবের মাথায়। বাংলাতেও তারকেশ্বরে এই উপলক্ষ্যে বিশেষ ভিড় দেখা যায়। আঞ্চলিক ভাবে যা শ্রাবণী মেলা নামে পরিচিত।
কানোয়ার যাত্রা বাতিল উত্তরাখণ্ড সরকারের
এদিকে অতিমারীর কথা মাথায় রেথে এবছরের কানোয়ার যাত্রা বাতিল করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। গতকালই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। দেহরাদুনে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কানোয়ার যাত্রার অনুমতি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। যা নিয়েই এবার সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মতামত জানতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে। আগামী শুক্রবার এই বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের আরএফ নরিম্যান ও বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ কার্যত কড়া ভাষাতেই বলেছে, "খোদ প্রধানমন্ত্রী যেখানে করোনা মোকাবিলায় আপোষহীন ভাবে লড়াইড়ের কথা বলছেন সেখানে এই ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণ নাগরিকদের বিভ্রান্তি বাড়াবে। এব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মতামত জানতে চাই আমরা।"
কুম্ভমেলা থেকেও শিক্ষা নেই?
উত্তরপ্রদেশের সরকারি আধিকারিকদের দাবি কানোয়ার যাত্রার অনুমতি দিলেও সেখানে অবশ্যই মানতে হবে কোভিড বিধি। এমনকী এই বিষয়ে কোনও আপোষ চলবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিন্তু বাস্তবে বিধি মানার পূর্বের অভিজ্ঞতাই ভাবাচ্ছে সকলে। আর প্রতিক্ষেত্রেই যে নিরব দর্শকের ভূমিকা নেয় প্রশাসন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে অনেকে প্রশ্ন করছেন করোনা আবহে কুম্ভমেলা করার ভয়াবহ পরিণতি দেখার পরেও কী সরকারের টনক নড়েনি? তারপরেও কী ভাবে এই ধরণের বিশালাকার ধর্মীয় জমায়েতে ছাড়পত্র দিচ্ছে সরকার?