দেশে স্নায়ুর রোগে মৃত্যুর মধ্যে বড় সংখ্যায় মৃত্যু হয় স্ট্রোকে (stroke)। ২০১৯-এ সারা দেশে ৬,৯৯০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল স্ট্রোকে। যা ওই বছরে সব মৃত্যুর (death) ৭.৪ শতাংশের মতো। ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। স্নায়বিক রোগের মধ্যে স্ট্রেকে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ শতাংশ মানুষের। অন্যদিকে আলজেইমার্সে ১২ শতাংশ এবং ডিমেনশিয়ায় ৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে স্নায়বিক রোগের মধ্যে ৩৭.৯ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকে, ১৭.৫ শতাংশ মানুষ মাথা ব্যথায়, ১১.৩ শতাংশ মৃগিতে, সেরিব্রাল পলসিতে ৫.৭ শতাংশ এবং এনসেফেলাইটিসে ৫.৩ শতাংশ, মেনিজাইটিসে ৪.৮ শতাংশ, অ্যালডেইমার্স এবং ডিমেনশিয়ায় ৪.৬ শতাংশ এবং মাথার আঘাতে ৪.১ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত।
অন্যদিকে স্নায়বিক রোগের মধ্যে ২০১৯-এ মাথা ধরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৮৮ মিলিয়ন মানুষ। তবে ৩৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই বেশি মাথা ধরায় আক্রান্ত। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সারা বিশ্বেই মাথা ধরার রোগ বাড়ছে।
ভারতে স্ট্রোক নিয়ে তথ্য সংগ্রহে সামিল হয়েছিল আইসিএমআর, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার মোত বেশ কিছু সংস্থা। এতে সামিল ছিলে প্রায় ৩০০-র মতো বিজ্ঞানী এবং সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ টি সংস্থা।
লুধিয়ানার দয়ানন্দ মেডিক্যাল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান গগনদীপ সিং জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং ছত্তিশগড়ে স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি। তবে এর পিছনে কারণ জানা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯১ সাল থেকে আঘাত সংক্রান্ত স্নায়ুর রোগ প্রায় কিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা কিনা আগেই রুখে দেওয়া যায়। সেই কারণে মাথায় আঘাতের থেকে রক্ষা পেতে হেলমেট পরার কথা বলেছেন তিনি।
যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তার থেকে বলা যায় স্নায়ুর রোগের ৮২,৮ শতাংশ অসংক্রামক ব্যাধি থেকে হয়। আর ১১.২ শতাংশ সংক্রামক ব্যাধি থেকে হয়। আর ৬ শতাংশ হয় আঘাতের থেকে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেসের অধ্যাপক এন গিরিশ রাও বলেছেন তিন জন ভারতীয়ের মধ্যে একজনের স্নায়ুরোগের কারণ হল মাথা ধরা। অনেক সময়ই সাধারণ মানুষ এতে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু এব্যাপারে প্রথমেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!