জরুরি আমদানির আইনি জটিলতা কাটাতে পারেনি ভারত
ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজত্ব শেষের পরেই বিশ্বের নানা দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের রাস্তায় হেঁটেছে আমেরিকা। এমনকী বাইডেনের কূটনৈতিক পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে ভারতে মোট ৮ কোটি টিকা ডোজ সরবরাহের অঙ্গীকার করেছে আমেরিকা। সূত্রের খবর অনুসারে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে পৌঁছেছে মার্কিন টিকা। যদিও আমদানি সম্পর্কিত আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে না পারায় আপাতত স্থগিত ভারত-আমেরিকার টিকা লেনদেন।
ভ্যাকসিন দান গ্রহণে সময় নেবে ভারত
" টিকা আমদামির পূর্বে সকল দেশেরই নিজস্ব আইনি পদ্ধতি থাকে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও সময় নেবে ভারত, এমনটাই জেনেছি আমরা", বক্তব্য নেড প্রাইসের। এদিকে ভ্যাকসিনের এহেন আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানিতে সহায়তা করছে হু ও গাভীর 'কোভ্যাক্স' ফেসিলিটি। পাশাপাশি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপে সর্বমোট ৪০ লক্ষ টিকা ইতিমধ্যেই প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেড।
স্বাস্থ্য ও বায়োমেডিক্যাল ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাচ্ছে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক
বর্তমান অতিমারীর আবহে সকল দেশকেই একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন হু প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেসিস। প্রায় একইরকম বক্তব্য রাখলেন নেড প্রাইস। স্টেট মুখপাত্রের মতে, "স্বাস্থ্য, বায়োমেডিক্যাল সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকার এই বিশেষ সহাবস্থান পরবর্তীতে করোনা গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক হবে।" পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশকে করোনা সহ অন্যান্য সংক্রামক রোগের বিষয়ে গবেষণা করার উৎসাহ জোগাতে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করার কথাও ভাবছে আমেরিকা, মত নেডের।
ভারতের ওষুধ উৎপাদন ক্ষেত্রের প্রশংসায় আমেরিকা
করোনা মহামারীর এহেন ভয়াবহ সময়ে ভারত ও আমেরিকা একইসঙ্গে কাজ করলে টিকা, ওষুধ সহ সকল স্বাস্থ্যক্ষেত্রের প্রভূত উন্নতি সম্ভব, মত নেড প্রাইসের। এ প্রসঙ্গে নেডের সাফ কথা, "বিশ্বে মহামারী শুরুর সময় থেকে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এটা ভেবেই খুশি যে, আমেরিকার টিকা সংস্থাগুলি ভারতীয় ওষুধ উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করতে পারবে।" অন্যদিকে করোনা টিকা উৎপাদন ও সারাবিশ্বে সমবণ্টনের ক্ষেত্রে আগামী কোয়াড লিডার্স' সামিটে নিয়ন্ত্রক হবে ভারত, মত নেডের।