উত্তরপ্রদেশে দলীয় কার্যালয় খোলা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ
গোটা দেশে তৃণমূলকে ছড়িয়ে দেওয়া যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার অঙ্গস্বরূপ যোগী রাজ্যে দলীয় কার্যালয় খুলেছে তৃণমূল। উত্তর-পূর্ব ভারতের পর উত্তরপ্রদেশে দলীয় কার্যালয় খোলা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। নিছকই এক-আধটা দলীয় কার্যালয় নয়, তৃণমূল উত্তরপ্রদেশের আটটি শহরে দলীয় কার্যালয় খুলেছে।
উত্তরপ্রদেশের কোন কোন কেন্দ্রে তৃণমূলের কার্যালয়
তৃণমূল দলীয় কার্যালয় খুলেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, গোরক্ষপুর, আজমগড়, বারাণসী, মির্জাপুর, এলাহাবাদে। লখনউতে দীর্ঘদিন ধরই একটা দলীয় কার্যালয় ছিল। উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা নীরজ রাই জানিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূলের জয়ে উৎসাহিত হয়ে তাঁরা দলীয় কার্যালয় খুলছেন।
বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে সক্রিয় হচ্ছে তৃণমূল
২০২৪-এর লক্ষ্য গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে। সেইলক্ষ্যে বেশ কিছু রাজ্যকে টার্গেট করেছে তৃণমূল। বিশেষ করে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে কার্যালয় খুলে সংগঠন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল বেশ কিছু রাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
কোন কোন রাজ্যকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস
তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পেজ খুলেছে। এবং সেগুলি ভীষণরকম সক্রিয় রয়েছে। প্রতিদিন বিজেপি বিরোধী নানা পোস্ট করা হচ্ছে ওই পেজগুলিতে। যেমন টিমসি ফর ত্রিপুরা, টিমসি ফর অসম, টিমসি ফর মণিপুর, টিমসি ফর মহারাষ্ট্র, টিমসি ফর ঝাড়খণ্ড, টিমসি ফর বিহার, টিমসি ফর ওড়িশা পেজগুলি বেশ সক্রিয়।
কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানায় ঢালাও প্রচার তৃণমূলের
তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল এমন অনেক পেজ খুলেছে, যা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই অবগত নন। এইসব পেজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নানা প্রকল্প ও নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে ঢালাও প্রচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রচারও চলছে। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা প্রচার চলছে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে।