পরিস্থিতি কোনদিকে?
প্রসঙ্গত, দেখা যাচ্ছে যে জুলাই মাসের প্রথম ১১ দিনে মহারাষ্ট্রে ৮৮,১৩০ জনের করোনা কেস রেজিস্টার হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বাড়বাড়ন্ত কোভিড কেসই মহারাষ্ট্রের জন্য সম্ভবত তৃতীয় ওয়েভের ইঙ্গিত দিয়ে চলেছে।
দিল্লি থেকে কেরলের পরিস্থিতি কেমন?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় স্রোত ও তৃতীয় স্রোতের মধ্যে করোনার ক্ষেত্রে খুব একটা সময়ের ফারাক হয়নি। এদিকে, দিল্লিতে দ্বিতীয় স্রোতে ২৫০০০ জনের করোনা হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। পরবর্তী কালে ১ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে ৮৭০ টি কেস দেখা গিয়েছে সেখানে। কেরল আপাতত করোনার সঙ্গে জিকা আতঙ্কে ভুগছে। এরইমধ্যে দেখা গিয়েছে ১ থেকে ১০ জুলাই কেরলে ১,২৮,৯৫১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ হয়েছে। ফলে সমস্ত রাজ্যেই যে করোনার জেরে প্রবল করুণ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে , তা বলাই বাহুল্য।
ডেল্টা আতঙ্ক ও তৃতীয় স্রোত
গত ১৫ দিনে মহারাষ্ট্রের কোহলাপুরে ৩ হাজারের বেশি করোনা কেস দেখা গিয়েছে। মুম্বইতে যদিও ৬০০ এর নিচে রয়েছে গত তিনদিনের করোনা গ্রাফ। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা রুখতে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং খুবই জরুরি। ডেল্টার মতো স্ট্রেইনের মারণ হানা রুখতে ভ্যাকসিনেশনের গতি আরো বাড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় স্রোতের মুখে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তা ক্রমেই বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সেখানে করোনার আক্রান্ত মোট ছিল ৭৯,৫০০ জন। যা মোটেও সুখকর বার্তা নয় দেশের পক্ষে।