শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নেতাদের সরানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত
সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে বসানো হয়েছে সৌমেন মহাপাত্র বা জেলার অন্য নেতাদের। একইসঙ্গে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নেতাদের সরানোর প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে। তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ গোপাল মাইতিকে সরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
সমবায় রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের প্রভাব
মৎস্য দফতরের মন্ত্রী রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ১৪ জন ডিরেক্টরের মধ্যে পাঁচ জনের সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। আর তিনজনের সমর্থন পেলেই চেয়ারম্যানকে সরাতে পারব আমরা। পূর্ব মেদিনীপুরের সমবায় রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের প্রভাব ছিল। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠরা বসে রয়েছেন।
শুভেন্দু-অনুগামী ও ঘনিষ্ঠ নেতাদের ঘাড়েও কোপ
শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর সেই শিকড় উপড়ে ফেলা খুবই কঠিন কাজ। তাঁর অনুগামী ও ঘনিষ্ঠ নেতাদের ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পদ থেকরে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে খোদ শুভেন্দুকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সমবায় দফতর। মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকেও শুভেন্দুকে সরাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার তাঁর অনুগামী ও ঘনিষ্ঠ নেতাদের ঘাড়েও কোপ পড়ছে।
তিনটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শুভেন্দু
তৃণমূলের অভিযোগ, শুভেন্দপ অধিকারী নিজে তলমুক-ঘাটাল কে-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে না থাকলেও গোপালকে মাইতিকে দিয়ে নিজস্ব প্রভাব বিস্তার করাতেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই এই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে সরাতে হবে। মেদিনীপুরে জেলার মোট তিনটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শুভেন্দু।
ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকেও ছেঁটে ফেলার তোড়জোড়
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু-অনুগামী শ্রীধর মিশ্রকে। তারপর তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকে ছেঁটে পেলা হয়েছে স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারীকে। আর তিনটি কো-অপরারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকেও তাঁকে ছেঁটে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।