রেহানাকে সম্মান
তবে রেহানার এই অবদান বৃথা যায়নি এবং তাঁর এই ভালো কর্মের জন্য তাঁকে পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নাগরালে তাঁকে শ্রেষ্ঠত্বের শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করেছেন।
কেন দত্তক নিলেন রেহানা
২০০০ সালে কনস্টেবল হিসাবে মুম্বই পুলিশে যোগ দেন রেহানা এবং পুলিশ বাহিনীতে থেকেও তিনি সর্বদা দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করে গিয়েছেন সব সময়। এর পাশাপাশি তিনি একজন ভলিবল খেলোয়াড়ও। কীভাবে এই পড়ুয়াদের তিনি দত্তক নিলেন সে প্রসঙ্গে রেহানা জানান, গত বছর তাঁরা যখন তাঁদের মেয়ের জন্মদিন পালন করার কথা ভাবছিলেন, সেই সময় তিনি রায়গড়ের ওয়াজে তালুকায় এই দানয়ানি বিদ্যালয়ের বিষয়ে জানতে পারেন এবং এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তাঁকে ওই স্কুলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রেহানা বলেন, ‘অধিকাংশ শিশুই এসেছে দরিদ্র পরিবার থেকে। অনেকের আবার পায়ে পরার জুতোও নেই। আমরা আমাদের মেয়ের জন্মদিনের জন্য জমানো অর্থ এতে ব্যবহার করি এবং তাঁদের জন্য ইদের বাজার করি।'
স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন
করোনা আবহে যাতায়াতের ওপর বাধা নিষেধ সত্ত্বেও রেহানা নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করে অবসর সময়ে স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে যান এবং দেখেন যে সব পড়ুয়ারাই দারুণ শৃঙ্খলাবদ্ধ ও তাদের মধ্যে ভালো আচরণ রয়েছে। একটা পুরো দিন কাটানোর পর রেহানা ওই স্কুলের ৫০ জন পড়ুয়াকে দত্তক নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। রেহানা ওই পড়ুয়াদের দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব দায়িত্ব নিয়েছেন।
মহামারির সময় সাহায্য
মহামারির সময়ও অক্সিজেন সরবরাহ, মাস্ক, ইঞ্জেকশন ও সাধারণ মানুষের এই সময় যা যা সমস্যা ছিল তার জন্য সব ধরনের সহায়তা করেছেন রেহানা। এছাড়াও ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করা প্রতিযোগিতায় পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি হয়ে তিনি রূপো ও সোনাও জিতেছেন।