বাড়ছে উদ্বেগ
বর্তমানে দেশজুড়ে টিকার চাহিদা আর জোগানের মধ্যে বড়সড় পার্থক্যের কারণেই এই পারাপতন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। ঘাটতি মেটাতে বর্তমানে জুলাইয়ে প্রত্যহ ৪০ লক্ষ থেকে ৪৫ লক্ষ টিকা সাপ্লাইয়ের লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছে সরকার। মাসিক লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১২ কোটি ডোজের আশেপাশে।
কাঠগড়ায় ভারত বায়োটেক
যদিও এই সমস্যার জন্য অনেকেই কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেককেই দুষছেন। ভারত বায়োটেকের বেঙ্গালুরুরু প্ল্যান্টে কিছু গোলযোগের কারণে থমকেছে উৎপাদন প্রক্রিয়া। যার জেরেই কমেছে সরবরাহ। যদিও এর সাথে সাথেই গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে এখনও টিকার প্রতি অনিহাই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রথম ডোজ নিতেই গড়িমসি বা ভয় কাজ করছে অনেকের মধ্যে।
গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে শহরাঞ্চলের টিকাকরণের তুল্যমূল্য বিচার
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে ২৫ জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে দৈনিক ৯.৯ লক্ষ থেকে ৪০.৪ লক্ষ টিকা ডোজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১ জুলাই থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে তা কমে ৮ লক্ষ থেকে ৩৮.১ লক্ষ দাঁড়ায়। সেখানে শহরাঞ্চলে ২৫-৩০ জুনের মধ্যে দৈনিক ৮.২ লক্ষ থেকে ৩১.৮ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে ১-৯ জুলাই পর্যন্ত তা হয় ৭.৬ লক্ষ থেকে ২৭.৮ লক্ষ।
একনজরে ভারতের করোনা চিত্র
এদিকে ভারতের মোট জনসংখ্যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ২২.৮ শতাংশ মানুষ। দুটি ডোজই পেয়েছেন ৫.৫ শতাংশ মানুষ। পাশাপাশি ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৮ লক্ষ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন ৪ লক্ষ ৮ হাজারের বেশি মানুষ।