ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে মহারাজ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক্সক্লুসিভ ম্যানেজারের ভূমিকা পালন করার জন্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের সঙ্গে চুক্তি সেরেছিল পারসেপ্ট ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং পারসেপ্ট ডি মার্ক (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড। পরে কিছু সমস্যার কারণে সেই চুক্তি ভেঙে যায়। এ জন্য সৌরভ তাঁর ন্যায্য পাওনা দাবি করেন এবং পরে আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আরবিট্রেশন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে সৌরভকে কিঞ্চিত পরিমাণ টাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ওই দুই সংস্থা আটকে রেখেছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতির আইনজীবী।
আরবিট্রেশন ট্রাইবুনালের নির্দেশ
২০১৮ সালে ওই দুই সংস্থাকে আরবিট্রেশন ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছিল, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি মেনে ১৪ কোটি ৪৯ লক্ষ ৯১ হাজার এবং তা অনাদায়ে প্রাপ্য টাকার উপর ১২ শতাংশ হারে সুদ ২০০৭ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ধরে যে মোট টাকা হবে সেটা দিতে হবে বিসিসিআই সভাপতিকে। কিন্তু ২ কোটির সামান্য কিছু মিটিয়েছে ওই সংস্থা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই টাকার পরিমাণ এখন বেড়ে ৩৬ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
আদালতে সৌরভ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে বম্বে হাইকোর্টের কাছে আরও আবেদন করেছেন অবিলম্বে ওই সংস্থা তাদের সম্পত্তির পরিমাণ জানাক এবং তার আগে অবধি যেন কোনওরকম লেনদেন ওই সংস্থা করতে না পারে। টাকা অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে সংস্থার ডিরেক্টররা সরাতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিসিসিআই সভাপতি এবং সেই মোতাবেকই এদিনের আবেদন। ওই দুই সংস্থার আইনজীবী বিচারপতি একে মেননের এজলাসে দাঁড়িয়ে আজ জানিয়েছেন, ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সংস্থার যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব আদালতকে জানানো হবে।
শুনানি ছাব্বিশে
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে এগজিকিউশন অ্যাপ্লিকেশন করেছেন বম্বে হাইকোর্টে। যাতে আবেদন জানানো হয়েছে, আরবিট্রেশন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মোতাবেক এখনও যে বিপুল পরিমাণ টাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ওই দুই সংস্থার কাছে পান তা দ্রুত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিক আদালত। সুদ-সহ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৬ জুলাই।