সীমান্ত পার হয়ে কলকাতার উপকণ্ঠে হরিদেবপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল জেএমবি (jmb) জঙ্গিরা। কিন্তু শনিবার রাতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ(stf)-এর হানায় ভেস্তে যায় সব পরিকল্পনা। যদিও এদের সঙ্গে থাকা আরেকজন পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে বাংলাদেশে জেলবন্দি নাহিদ তাসমিনের নির্দেশেই তারা এই রাজ্যে আসে।
পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের কাশিপুর জেলে বন্দি রয়েছে জেএমবি জঙ্গি নাহিদ তাসনিম। তারই নির্দেশে নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে সাবির এবং রবিউল ইসলাম এবং সেলিম মুন্সি ভারতে অনুপ্রবেশ করে মালদহ সীমান্ত দিয়ে। দলের তারা ১২ জন ছিল দবে দাবি এসটিএফ-এর। চারজন কলকাতায় এসে তারা হরিদেবপুরে বাড়ি ভাড়া নেয়। কেউ ফল বিক্রেতা কিংবা কেউ ছাকা সারানোর মিস্ত্রির ছদ্মবেশে কাজ চালাতে থাকে। কেউই তাদেরকে সন্দেহ করেননি। আর বাড়িওয়ালাকে পরিচয় দেয় ভারতীয় হিসেবেই। কিন্তু শনিবার রাতের অভিযানে এসটিএফ প্রথম তিনজনকে ধরতে পারলেও, সেলিম মুন্সির কোনও খোঁজ পায়নি। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই এসটিএফ বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে জেএমবির শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গেও ধৃতদের যোগাযোগ ছিল।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তারা খবর পেয়েছিলেন, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় জেএবির স্লিপার সেলের সদস্যরা আনাগোনা করছে। তারপরেই নজরদারি বাড়ানো হয়। তাতেই জালে পড়ে ৩ জন। পুলিশের অনুমান এই রাজ্যে স্লিপার সেলকে সক্রিয় করার চেষ্টায় ছিল জেএমবির শীর্ষ নেতৃত্ব।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ধৃতদের কাছে অর্থের যোগান দেওয়া হত। জেএমবির শীর্ষ নেতা আল আমিনের মাধ্যমেই সেই টাকা আসত। এই দলে আর কে রয়েছে, কার মাধ্যমেই বা টাকা আসত, কীভাবেই বা সীমান্ত পেরিয়ে ছিল ধৃতরা সব কিছু জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!