উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিধির বিরোধিতায় সরব হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিধির খসড়া থেকে এক সন্তান নীতি সরানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। এই নীতির ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মনে করছে, এই এক সন্তান নীতি লাগু হলে উল্টে জনসংখ্যার সংকোচনেরও সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল ২০২১-এর ফলে পিতামাতার পরিবর্তে সন্তান পুরস্কৃত বা শাস্তি পাবে, তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পরে।
এই বিল উপস্থাপন করে বলা হয়েছে যে, জনসংখ্যা স্থিতিশীল করতে এবং দ্বি-সন্তানের আদর্শ প্রচারের জন্য এটি একটি বিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই দুই নীতির সঙ্গে একমত। সংগঠনের সভাপতি অলোক কুমার সোমবার উত্তরপ্রদেশ রাজ্য আইন কমিশনকে এক চিঠিতে বলেছেন, সরকারি কর্মচারী এবং অন্যান্য পরিবারে একমাত্র সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করার বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মতপার্থক্য রয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদরে কথায়, আমরা জনসংখ্যার সংকোচনের পাশাপাশি এক সন্তান নীতির অনাকাঙ্ক্ষিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি এবং বিচ্ছিন্নতা এড়াতে ধারা ৫, ধারা ৬/২ এবং 7 মুছে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি। বাবা-মায়ের পরিবর্তে সন্তানের পুরষ্কার বা শাস্তি দেওয়ার বিষয়টির বিরোধিতা করছে।
তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করুক, কিন্তু তা সংকোটচনে আমাদের সায় নেই। তাই এমন বিলের উদ্দেশ্য নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা। বিলের খসড়াটি সর্বজনীন ডোমেনে রেখে, ইউপিএসসিএলের সদস্যদের কাছ থেকে পরামর্শের আমন্ত্রণও জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!