দিন যত গড়াচ্ছে বিখ্যাত সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানৌতর। এমনকী প্রতিবাদের আঁচ পৌঁছেছে বিদেশেও। এমতাবস্থায় এবার এই অশীতিপর সমাজকর্মীর মৃত্যু মোদী সরকারকে একহাত নিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। এদিকে শেষ বিধানসভা নির্বাচন ও উদ্ধবের মুখ্যন্ত্রিত্ব নিয়ে টানাপোড়েনের সময় থেকে একদা শরিক হিসাবে কাজ করা শিবসেনা-বিপির সংঘাত শুরু।
অন্যদিকে বিন্দুমাত্র সুযোগ পেলেই বিজেপিকে বিঁধতে দেরি করেন না শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। লাদাখ ইস্যু হোক বা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য, প্রতিক্ষেত্রেই রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এমতাবস্থায় এবার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুকে খুন বলেই দেগে দিলেন তিনি। আর এই প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা হয়েছে মোদী সরকারের হাতেই। এমনটাই মত তাঁর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে গোটা বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি মোদী সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। পাশাপাশি স্বামীর মৃত্যুকে 'রাষ্ট্রীয় খুন’ বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমাজের একটি বড় অংশের বিদ্বজনেরা। এমতাবস্থায় সঞ্জয় রাউতের মত বড় মাপের নেতার এই আক্রমণ মোদী সরকারের উপর যে নতুন করে চাপ বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।
স্বামীর মৃত্যুতে বিজেপিকে সরকারের তুলোধনা করতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধী, হিটলার, মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী মানসিকতার সঙ্গে মোদীর তুলনা টানেন তিনি। শিবসেনা মুখপত্র 'সামানা’তে সঞ্জয় রাউত লেখেন, “ইন্দিরা গান্ধী জর্জ ফার্নান্ডিজকে ভয় পেয়েছিলেন। যদিও জর্জ তখন তরুণ নেতা ছিলেন এবং ফাদার স্ট্যান স্বামীর মতো বয়স্কও ছিলেন না। কিন্তু আজকের সরকার ৮৪-৮৫ বছর বয়সী স্ট্যান স্বামী এবং ভারাভারা রাওকে ভয় পাচ্ছে। সেই কারণেই স্ট্যান স্বামীকে জেলে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকার আদপে স্বৈরাচারী এবং হিটলার-মুসোলিনির পৃষ্ঠপোষক।”
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!