পদ্মনাভ স্বামী মন্দির
কেরলে তিরুবন্তপুরম শহরের মাঝে অবস্থিত পদ্মনাভস্বামী মন্দির, এটি ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দির হিসাবে পরিচিত। দ্রাবিড় রীতিতে নির্মিত এই প্রাচীন মন্দিরটির দেখাশোনা করেছেন ত্রাভনকোরের পূর্ববর্তী রাজপরিবার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্দিরের ৬টি লকারে সবমিলিয়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরের গর্ভগৃহে ভগবান বিষ্ণুর বিশাল সোনার মূর্তি রয়েছে। যেটি দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্ত দূর দূর থেকে আসেন। এই মূর্তির আনুমানির মূল্য ৫০০ কোটি টাকা।
তিরুপতি বালাজী
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার ৭ টি পাহাড় নিয়ে গঠিত তিরুপতি বালাজীর নামও দেশের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ মন্দিরের তালিকায় আসে। স্থাপত্যশৈলীর এক দুর্দান্ত নমুনা বলা হয়, এই মন্দিরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, যা তামিল রাজা থোদাইমানান নির্মাণ করেছিলেন। করোনা ভাইরাসের আগে এই মন্দিরে রোজ ৬০ হাজার ভক্ত দর্শনের জন্য আসতেন। বলা হয় যে এই মন্দিরে স্বয়ং ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর বাস করেন, যিনি বিষ্ণুর অবতার। মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি।
বৈষ্ণো দেবীর মন্দির
হিন্দু ধর্মে মা বৈষ্ণো দেবীর খুবই মাহাত্ম্য রয়েছে। এই মন্দিরটি ১৭০০ মিটার উচ্চতায় ত্রিকুটা পর্বতে কাটরা নামক জায়গায় অবস্থিত। প্রত্যেক বছর মাতার দর্শনের জন্য বিশ্বের কোণায় কোণায় থাকা হিন্দুরা আসেন। মন্দিরের মুখ্য আকর্ষণ গুহায় থাকা তিনটে পিণ্ড। এই গুহার লম্বায় ৩০ মিটার ও দেড় মিটারের মতো উঁচু। বছরভর এখানে মাতার দর্শনের জন্য বহু ভক্ত আসেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ ভক্তদের অনুদান থেকে ৫০০ কোটি টাকা পায়।
সাই মন্দির
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে অবস্থিত শিরডি সাই বাবার মন্দির বেশ জনপ্রিয়। প্রত্যেক বছর বাবার দর্শনের জন্য লক্ষাধিক মানুষ এখানে আসেন। শিরডি সাই সংস্থানের রিপোর্ট অনুযায়ী দান-দক্ষিণা মিলিয়ে এই মন্দিরে ৪৮০ কোটি টাকা আসার কথা জানা গেলেও পরে নতুন খবর অনুযায়ী সেই সংখ্যাটি ৩৬০ কোটি। বলা হয় যে মন্দিরে আশেপাশে প্রায় ৩২ কোটির চাঁদির গয়না ও ৬ লক্ষ মূল্যের চাঁদির কয়েন রয়েছে। প্রত্যেক বছর ৩৫০ কোটির অনুদান আসে।
শ্রী সিদ্ধি বিনায়ক গণপতি মন্দির
গনেশের সর্বাধিক বিখ্যাত মন্দির ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বইতে অবস্থিত, যা সিদ্ধি বিনয়াক মন্দির নামে পরিচিত। গণেশের মূর্তিগুলির ডানদিকে বাঁকানো শুঁড় সিদ্ধপীঠের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় এবং তাদের মন্দিরগুলিকে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্দিরে গিয়ে ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূর্ণ হয়। এই কারণেই বড় বড় নেতারা, অভিনেতা এবং তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এখানে মাথা নত করতে এবং মানত করতে আসেন। রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি বছর এই মন্দির অনুদান থেকে প্রায় ৭৫ থেকে ১২৫ কোটি টাকা লাভ করে। এই মন্দিরটি ৩.৭ কেজি স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া, যা কলকাতার একজন ব্যবসায়ী দান করেছিলেন।