আবহাওয়া নিয়ে কোনও প্রামাণিক তথ্য নেই
বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে করোনার মারাত্মক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণিত কিছু গবেষণা নেই যা থেকে বলা যায় কোনও আবহাওয়া করোনা ভাইরাস কেমন আচরণ করেছে। তবে বর্তমান আবহাওয়ায় স্ট্রোক, টাইফডেট, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে আবার চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, বর্তমানের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বায়ুবাহিত সংক্রমণে সাহায্য করে।
বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে ভাইরাস
যখন কাশি, হাঁচি, কথা বলা কিংবা গান করা হয়, তখন জলের ক্ষুদ্র কণা ভাইরাসকে সঙ্গে করে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। জলের এই ক্ষুদ্র কণা বাতাসে অনেকক্ষণ ভেসে থাকতে পারে। এছাড়াও আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম থাকলেও তা বাতাসে থেকে যায়। যা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপেক্ষিক আর্দ্রতাও গুরুত্বপূর্ণ
যখন আর্দ্রতা কম থাকে তখন ভাইরাল কণাগুলি এটারওয়ে রিসেপ্টর সাইটগুলিতে আরও বেশি ডকিং-এর সম্ভাবনা নিয়ে থাকে। যার জেরে সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আপেক্ষিত আর্দ্রতা কম থাকলে, মিউকাস সেলগুলি ভাইরাল পার্টিক্যালের এবং অন্য পদার্থগুলির বিরুদ্ধে কাজ করে।
সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা জারি রাখতে হবে
দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ে আক্রান্তদের জটিলতা দেখা গিয়েছে। তার বেশিরভাগটাই মিউটেশনের কারণে। তবে হাত পরিষ্কার করা, ভিড় জায়গা এড়িয়ে যাওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভ্যাকসিন নেওয়া, মাস্ক পরার মাধ্যমে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। সারা বছর ধরেই এই ধরনের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা জারি রাখতে হবে।