|
জয়সূচক গোল দি মারিয়ার
লিওনেল মেসি যেমন নেইমারকে পেয়েছেন বার্সেলোনায়, তেমনই পিএসজি-তে দি মারিয়ার সঙ্গে অনেক স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী নেইমার। ক্লাব ফুটবলের দুই বন্ধু আজ টেক্কা দিলেন নেইমারকে। প্রথম কোপা আমেরিকা ফাইনালে নেমে তাঁর কাপ জয়ের স্বপ্নপূরণ হল না। হতে দিলেন না সুযোগসন্ধানী দি মারিয়া। রদ্রিগো দে পলের দূরপাল্লার বল ধরে দর্শনীয় গোল করে ৩৩ বছরের উইঙ্গার তথা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ঘটালেন শাপমুক্তি। তাঁর গোলই আর্জেন্তিনাকে বহু আকাঙ্ক্ষিত কোপা জেতাল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনালে গোল করার পুরস্কারও পেলেন দি মারিয়া।
বড় মঞ্চে বাজিমাত
আর্জেন্তিনার অনূর্ধ্ব ২০ দলের বিশ্বকাপ ২০০৭ সালে জিতেছিলেন দি মারিয়া। তবে ওই বছরই দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব ২০ চ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা ২০১৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল রানার-আপ হয়েই। মেসির মতো ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদ বা পিএসজি-র হয়ে অনেক ট্রফি জয়ের সাক্ষী থাকলেও দি মারিয়াও আজই প্রথম আর্জেন্তিনার সিনিয়র দলের হয়ে মেজর (কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ) জয়ের স্বাদ পেলেন। অবদান রাখলেন জয়সূচক গোলটি করে। তবে এই প্রথমই নয়। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকেও আর্জেন্তিনা সোনা জিতেছিল দি মারিয়ার গোলেই। অনূর্ধ্ব ২৩ দলের হয়ে অলিম্পিক ফাইনালে ২৩ অগাস্ট আর্জেন্তিনা ১-০ গোলেই হারিয়েছিল নাইজেরিয়াকে।
একনজরে কেরিয়ার
ছিপছিপে চেহারা বলে দি মারিয়ার ডাকনাম ফিদেও। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ নুডল। রোজারিও সেন্ট্রাল, বেনফিকা, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি-র হয়ে ৪৩৩টি ম্যাচ খেলা দি মারিয়ার গোলের সংখ্যা ৮৯। ২০০৮ সাল থেকে খেলছেন আর্জেন্তিনার জাতীয় দলে। ১১১টি ম্য়াচ খেলেছেন দেশের হয়ে। গোল করেছেন ২১টি। ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি চারটি গোল করেছিলেন। ২০১১, ২০১২ ও ২০১৬ সালে তিনটি করে গোল করেছিলেন। কলকাতাতেও খেলে গিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডলিতে। ২০১৮ সালে একটিই গোল করেছিলেন, বিশ্বকাপে রাউন্ড অব সিক্সটিন ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপ জয়ের পথে সেই ম্যাচে ৪-৩ গোলে আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে ছিটকে দিয়েছিল ফ্রান্স।
মারাকানায় ভামোস আর্জেন্তিনা
এরপর দুই বছরে দেশের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেললেও একটিও গোল করতে পারেননি। চলতি বছরে নিজের সপ্তম ম্যাচে গোল করে গড়লেন নয়া ইতিহাস। আগে তাঁর জার্সি নম্বর ছিল সাত, বদলে পরে হয়েছে ১১। বিশ্বকাপের পর দি মারিয়ার কেরিয়ার শেষ বলে যাঁরা জল্পনা শুরু করেছিলেন, আজ তাঁদেরই জবাব দিলেন আর্জেন্তিনার নুডল। ১৯৯৩ সালের পর আজ ফের কোপা আমেরিকা জিতল মারাদোনার দেশ।