ভিনরাজ্যে জাল বিছাতে কীভাবে এগোচ্ছে তৃণমূল! বিজেপির ‘প্রাক্তনী’দের নিয়ে ছক তৈরি

বাংলার ভোট মিটেছে। এবার লক্ষ্য ২০২৪। সেই লক্ষ্যে ভিন রাজ্যে ঘাঁটি গাড়তে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। পরিকল্পনামাফিক তারা এগোতে চাইছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েকর নেতৃত্বে ভিনরাজ্যে সাম্রাজ্য বিস্তার তৃণমূল মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণে টার্গেট ধরে ধরে এগোতে চাইছেন তাঁরা। আসন্ন ২১ জুলাই থেকে সেই টার্গেট পূরণ করতে নামবে তৃণমূল।

বিজেপিতে অসন্তুষ্ট প্রাক্তনীদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৃণমূলের

করোনার আবহে এবার ভার্চুয়ালি পালন হবে শহিদ দিবস। তবে ২১ জুলাই বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুখ শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে ভিনরাজ্যে সংগঠন বিস্তারে নামার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, বাইরের রাজ্যে বিজেপিতে অসন্তুষ্ট প্রাক্তনীদের নিয়ে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও রয়েছে তৃণমূলের।

ত্রিপুরায় মুকুল-ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়বর্মন বিজেপির উপর অসন্তুষ্ট

ত্রিপুরায় বিজেপিতে অসন্তোষ তীব্র। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সুদীর রায় বর্মনের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সুদীপ রায় বর্মনকে নিয়ে তৃণমূল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারে। তেমনই মণিপুর ও অসমের ক্ষেত্রেও তৃণমূল সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে।

বিহারে বিজেপিতে অসন্তোষ প্রাক্তনী যশবন্ত সিনহা ও শত্রঘ্ন সিনহাদের

একইভাবে পার্শ্ববর্তী বিহার নিয়ে তৃণমূল ভাবছে। আর তাদের এই ভাবনায় তৃণমূল পাশে পেয়ে গিয়েছে যশবন্ত সিনহা ও শত্রঘ্ন সিনহাকে। তাঁরা উভয়েই প্রাক্তন বিজেপি। বর্তমানে বিজেপি তাঁদের কাছে চক্ষুশূল আবার উল্টোটাও। তাঁদেরকে এবার কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। বিহারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও তাঁদের কাছে লাগাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস।

ভিনরাজ্যে তৃণমূলের সাম্রাজ্য বিস্তারের পরিকল্পনার অঙ্গ বিহারীবাবু

তৃণমূল এবার ভিনরাজ্যর দিকে পাখির চোখ করেছে। সেই লক্ষ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তিনি ভিনরাজ্যে সাম্রাজ্য বিস্তারের পরিকল্পনা করছেন। সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ হলেন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তিনি তৃণমূলের পতাকা নিয়ে নতুন লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

বিজেপির প্রাক্তনীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল

বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ-মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা আগেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার আর এক বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন। এভাবেই বিজেপির প্রাক্তনীদের নিয়ে তৃণমূল ভিনরাজ্যে শক্তিশালী পদক্ষেপ রাখতে চাইছে। আর বিজেপির এই প্রাক্তানীদের সঙ্গে সম্পর্কও ভালো তৃণমূলের। তা কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।

বিজেপির প্রাক্তনীদের তৃণমূলে যোগদান করানোর পরিকল্পনা অভিষেকের

যুব সভাপতি থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য শুধু অন্য রাজ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নয়। তাঁদের সংগঠন বাড়ানোর পিছনে মূল লক্ষ্য জয়। টার্গেট রেখেই এগোতে চাইছেন অভিযেক। যশবন্ত সিনহার পর তাই শত্রুঘ্ন সিনহাকে তৃণমূলে যোগদান করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আরও অনেক বিজেপির প্রাক্তনী রয়েছে, যাঁদের নাম ক্রমশ প্রকাশ্য।

বিহারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে সংগঠন বিস্তারে মন ২০২৪-এর আগে

বিজেপির সমস্ত প্রাক্তনীদের ভিন রাজ্যের সংগঠনে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। শত্রঘ্ন সিনহা বর্তমানে কট্টর বিজেপি বিরোধী। ফলে তাঁকে ভিন রাজ্যের সংগঠনে কাজে লাগিয়ে জোয়ার আনতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস। বিহারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে সংগঠন বিস্তারে মন দিয়েছে তৃণমূল। যশবন্ত-শত্রুঘ্ন সিনহাদের সেই কাজে লাগাতে চান অভিষেক। সামনেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। সেখানে যদি একটু হলেও থাবা বসানো যায়, তবে ২৪-এ মোদীকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া যাবে।

২৪-এর আগে তৃণমূলের কাছে প্রেরণা হতে পারেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি

এক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে প্রেরণা হতে পারেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি যদি গুজরাট, বিহারে থাবা বসাতে পারেন, বাংলায় মিটিং করতে পারেন, তাহলে তৃণমূল কেন বিহার-উত্তরপ্রদেশে সংগঠন বাড়িয়ে ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করতে পারবে না। উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি আসনেও যদি তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তবে তাঁরা বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসতে পারে ২০২৪-এ।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ এবার বিরাট চমকের অপেক্ষায়! তৃণমূলে পা বাড়িয়ে ‘বড়' নামএকুশে জুলাইয়ের মঞ্চ এবার বিরাট চমকের অপেক্ষায়! তৃণমূলে পা বাড়িয়ে ‘বড়' নাম

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More MAMATA BANERJEE News  

Read more about:
English summary
TMC plans to expand their empire in others states to increases party with Ex BJP leaders