বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান নৌশাদ
শুক্রবার যেমন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়, সেরকমই বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানের নামও ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দেখা যায় নৌশাদ সিদ্দিকিকে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এসবই করেন অধ্যক্ষ, এই চেয়ারম্যান নিয়োগে তাদের কোনও হাত নেই।
দায়িত্বে খুশি নৌশাদ
প্রসঙ্গত প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় বিধায়ক তহবিলের টারা খরচ করা হয়। সেটাই দেখবেন নৌশাদ। তিনি বিধানসভায় সর্বকনিষ্ঠ, তাছাড়াও তিনি প্রথমবার বিধানসভায়। তাই বয়স্কদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
এর আগে তাঁকে সর্বদল বৈঠকে না ডাকা এবং বিধানসভার কমিটিতে স্থান না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই প্রশ্ন উঠেছিল কেন বৈষম্য করা হচ্ছে নৌশাদের সঙ্গে। পাশাপাশি কমিটিতে জায়গা পেলে সরকারিভাবে বিধায়কদের পকেটও ভরে। কেননা কমিটির বৈঠকে অংশ নিলে আলাদা করে ২০০০ টাকা করে ভাতা পান বিধায়করা। ফলে বিধায়ক হিসেবে মাসের আয়ও অনেকটাই বাড়ে।
মানুষ প্রশ্ন তুলবে
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি থেকে তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার কথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে বিজেপি। এব্যাপারে নৌশাদ জানিয়েছেন, পিএসির গুরুত্ব অনেক বেশি। বিরোধী দল থেকেই এই পদে মনোনীত করা উচিত। না হলে মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সর্বদল বৈঠকে ডাক হয়নি নৌশাদকে
গতমাসের শেষে বিধানসভায় সর্বদল বৈঠকের পাশাপাশি বিএ কমিটির বৈঠক হয়েছিল। তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি নৌশাদ সিদ্দিকিকে। ভাঙড়ের এই বিধায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁকে মোবাইল কিংবা ফোন, কোনও কিছুতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি এব্যাপারে অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন।
কটাক্ষ করেছিলেন পার্থ
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নৌশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, উনি কোনও দলের নাকি? দল হলে না সর্বদল বৈঠকে আসবেন।