হাইভোল্টেড উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট ও রাজনৈতিক তোলপাড়
একদিকে উন্নয়ন যেমন বড় ইস্যু উত্তরপ্রদেশের বুকে, তেমনই কৃষি আন্দোলনের প্রভাবকে বিজেপি বিরোধী দলগুলি হরিয়ানা-পাঞ্জাব লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের এলাকগুলিতে কতটা কাজে লাগাতে পারবে, তাও উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর। তবে এই সমস্তকে ছাপিয়ে গিয়েছে করোনা পরিস্থিতি। করোনার দ্বিতীয় স্রোতে যোগী সরকার কতটা পরিস্থিতি সামলাতে পেরেছে , তা মূলত বিচার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের মুখে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এবার ব্লক পঞ্চায়েত নির্বাচনে 'খেলা হই' ফ্যাক্টর কতটা জাগ্রত হবে, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
নির্বাচনে আবেদন কত, বাতিল কত, পরিসংখ্যান একনজরে
জানা গিয়েছে ব্লক পঞ্চায়েত প্রধান পদে নির্বাচনের জন্য উত্তর প্রদেশের বুকে মোট ৮২৫ টি আবেদন পড়েছিল। এর মধ্যে ৬৮ টি বাতিল হয়েছে। ১৮৭ টি আবেদন তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে ৪৭৬ আসনে আজ সকাল ১১ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৩ টেয়।
গোবলয়ের রাজনীতি ও লিটমাস টেস্ট
শুধুমাত্র যে শিক্ষা , স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন বিষয় উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে তা নয়। তার সঙ্গে রয়েছে জাতি ভিত্তিক ভোট ব্যাঙ্ক। কার্যত এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির চাণক্য অমিত শাহের নিখুঁজ স্ট্র্যাটেজিতে এই ফ্যাক্টরে বাজিমাত করে বিজেপি। তবে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই ফ্যাক্টরে ক্যারিশ্মা দেখাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কোভিড ও কৃষি আন্দোল ঘিরে মোদী সরকার ও যোগী সরকারের অবস্থান তুলে ধরে হাওয়া মিজের দিকে করে সপা। এরপর ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের রণদামামার আগে আজ তৃণমূল স্তরে গোবলয়ের বুকে কোন পার্টির জোর কতটা রয়েছে তার লিটমাস টেস্ট। যা কার্যত উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ভাগ্য স্থির করবে।
বিরোধীরা সরব
যোগী সরকারকে মসনদ থেকে সরাতে উত্তর প্রদেশের বুকে সেভাবে বিরোধী ঐক্য জোরদার হতে এখনও দেখা যায়নি। মায়াবতী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে , তিনি একলা চলো রে, নীতিতে এগোতে চান। অন্যদিকে, ব্লক পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের আগে একযোগে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস দাবি করছে যে বিজেপি এই নির্বাচনে কারচুপি করছে। প্রসঙ্গত, এদিন দুপুর ৩ টের পরই শুরু গণনা।