কৃষিমন্ত্রকের রিপোর্ট
কৃষিমন্ত্রকের তরফে সর্বভারতীয় ফসলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এবছরে ৪৯৯.৮৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে ফসল হয়েছে। যেখানে গতবছরে ৫৫৮.১১ লক্ষ হেক্টর জমিতে ফসল হয়েছিল। এই সময়ের ফসলের মধ্যে রয়েছে মুগ, সয়াবিন, ধান, তুলো।
গতবছর যেখানে বাম্পার ফল হয়েছিল, সেখানে এবছরে তা কমতে চলেছে। গতবছর সয়াবিন চাষ হয়েছিল ৯২.৩৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে, আর এবছরে তা হয়েছে ৮২.১৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে। গতবছরে মুগ হয়েছিল ১৩.৪৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে আর এবছরে তা হয়েছে ১১.৯২ হেক্টর জমিতে। তুলো হয়েছিল ১০৪.৮৩ লক্ষ হেক্টর কমিতে, এবছরে তা হয়েছে ৮৬.৪৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে। তৈলবীজ ১২৬.১৩ লক্ষ হেক্টর থেকে নেমেছে ১১২.৫৫ লক্ষ হেক্টরে। অন্যদিকে ডাল ৫৩.৩৫ লক্ষ হেক্টর থেকে নেমেছে ৫২.৪৯ লক্ষ হেক্টরে।
অন্য উপায় কৃষকদের
বৃষ্টির অনুপস্থিতিতে কৃষকরা হয় স্বল্প সময়ের ফসলে চলে গিয়েছে অথবা মাঠে বীজ রোপন করতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করেছেন। এর ফলেই বর্তমান অবস্থা তৈরি হয়েছে।
দেশে কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯ জুলাই পর্যন্ত দেশে ২২৯.৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছে যা স্বাভাবিক ২৪৩.৬ মিমির থেকে কম। দেখা গিয়েছে, জুনের প্রথম দুসপ্তাহ বাদ দিলে অনেক জায়গাতেই বৃষ্টির অভাব দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টি কমেছে দেশের উত্তর পশ্চিমাংশে। বৃষ্টির অভাব প্রায় ১৮ শতাংশের মতো। দিল্লি, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, পশ্চিম রাজস্থানে সবে মাত্র বর্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ভেঙেছে আগের রেকর্ড
২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জুলের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে জুলাইয়ের প্রথমের দিকে একাধিকবার এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে তা ১১ দিনের বেশি স্থানীয় হয়নি। কিন্তু এবার তা রেকর্ড ভেঙে তিন সপ্তাহের মতো হয়ে গিয়েছে। তবে একটাই খুশির কথা, ১১ জুলাই নাগাদ বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে, তা থেকে দেশের বিস্তীর্ণ অংশে মৌসুমী বায়ু ফের সক্রিয় হয়ে উঠেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।