গত কয়েকদিন আগেই মন্ত্রিসভাতে বড়সড় রদবদল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ-উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের সমস্ত রাজ্য থেকে সাংসদদের ডেকে এনে মন্ত্রিসভাতে জায়গা দেওয়া হয়। মোদী তাঁর নয়া মন্ত্রিসভাতে একদিকে যেমন তরুণদের গুরুত্ব দিয়েছেন অন্যদিকে রয়েছেন সর্বানন্দ সোনওয়ালদের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরাও।
তবে মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং ২৮ জন প্রতিমন্ত্রী হিসাবে যোগ দিয়েছেন মোদীর মন্ত্রিসভাতে। সব মিলিয়ে ২০২৬ এর নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে একেবারে নয়া এই ৭৮ জনের টিমকে নিয়ে ঝাঁপাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু জানেন কি ৭৮ জন মন্ত্রীর ৪২ শতাংশের মধ্যে রয়েছে ক্রিমিনাল কেস। যাদের মধ্যে আবার চার জনের খুনের চেষ্টার মতো মারাত্মক অভিযোগও রয়েছে। অন্তত এডিআরের রিপোর্ট তেমনটাই বলছে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিম রিফোর্মশ এই বিষয়ে একটা তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ৪২ শতাংশ অর্থাৎ মোদীর মন্ত্রিসভাতে থাকা ৩৩ জন মন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।
৩১ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ জন জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে গভীর ক্রিমিনাল কেস রয়েছে। যেমন খুন, খুনের চেষ্টা, লুঠপাঠ সহ মারাত্মক এই সমস্ত অভিযোগ রয়েছে।
এবার বাংলা থেকে চারজনকে জায়গা দেওয়া হয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভাতে। যার মধ্যে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক রয়েছে। ৩১ বছর বয়স। বলা হচ্ছে , মোদীর মন্ত্রিসভার সবথেকে কনিষ্ঠ সদস্য। খোদ অমিত শাহ তাঁকে তাঁর ডেপুটি করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতো গুরুত্ব পূর্ণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক সমস্ত অভিযোগ রয়েছে। এডিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী নিশীথের বিরুদ্ধে খুনের (IPC Section-302) অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে খুনের চেষ্টার (IPC Section-307) মতো অভিযোগও।
বাংলা থেকে হওয়া আরও এক মন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধেও রয়েছ খুনের চেষ্টার অভিযোগ। উল্লেখ্য, এই দুই সাংসদকে মন্ত্রী করা নিয়ে ইতিমধ্যে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, নীতিশ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচারের মতো অভিযোগও রয়েছে।
এমনকি জন বার্লার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এডিআরে কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে পঙ্কজ চৌধুরী, ভি মুরলিধরণ দুই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। শুধু ক্রাইম নয়, মোদী র মন্ত্রিসভাতে থাকা ৭০ জন মন্ত্রী কোটিপতি। তাঁদের সম্পতির পরিমাণ ১৬ কোটিরও বেশি। জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া, পীযূষ গোয়েল সহ চার মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকারও বেশী । এমনটাই বলছে এডিআরের রিপোর্ট।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!