ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে।
আদালতের নির্দেশে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আর কমিশনের তদন্ত চলাকালীনই তৃণমূল এবং বিজেপি দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এক বিজেপি কর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রীতিমত সালিসি সভা বসিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর চলে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টা আগেই ওই গ্রামে ঘুরে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। আর তাঁরা ঘুরে যেতেই এই ঘটনা। আতঙ্কে নতুন করে বাড়ি ছাড়া ওই বিজেপি কর্মী এবং পরিবার।
বলা প্রয়োজন, ভোটের পর থেকে ওই পরিবার ঘর ছাড়া ছিল। পুলিশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা এসে ওই পরিবারকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়।
কিন্তু সবাই ফিরে যেতে গ্রামে বসা সালিশি সভাতে ওই বিজেপি কর্মীকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে।
মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত ওই বিজেপি কর্মী। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাত পা ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ওই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হলেও পরে অবস্থার অবনতি হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীকে।
এই ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি গোটা এলাকাতে। বিজেপির দাবি, শাসকদল তৃণমূল রাজ্যে সর্বত্র বিজেপি নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। মারধর করছে। পুলিশ প্রশাসন জেনে বুঝেও কিছু করছে না বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও এই ঘটনায় এখনও পরজত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!