৫০ কিমি যেতে খরচ মাত্র দেড় টাকা! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সময়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার কলেজ পড়ুয়ার

গোটা দেশে হু হু করে বাড়ছে পেট্রোল -ডিজেলের দাম। ইতিমধ্যে ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। একই পথে এগোচ্ছে ডিজেলের দাম। একে করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি! কার্যত এই অবস্থায় রাস্তায় বেরিয়ে বাড়তি খরচ হচ্ছে যাত্রীদের। কারণ অনেকাংশে করোনার আতঙ্কে গণপরিবহণকে এড়িয়ে চলছেন সাধারণ মানুষ ।

যতটা সম্ভব নিজস্ব গাড়ি কিংবা অনলাইনে ভেইক্যালের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় অনেকটাই বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে। এই অবস্থায় যুগান্তকারী এক আবিষ্কার এক পড়ুয়ার।

সূর্যের আলোতে ছুটবে সাইকেল!

যেভাবে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে যুগান্তকারী এক আবিষ্কার করে ফেলেছেন মাদুরাইয়ের এক কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ধানুশ কুমার। তাঁর তৈরি সাইকেল চলবে সম্পূর্ণ সৌরশক্তিতে (solar-powered electric cycle)। শুধু তাই নয়, সাইকেলে লাগানো মোটর দ্রুত যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। সাইকেলে লাগানো হয়েছে বেশ কয়েকটি প্যানেল। যা সূর্যের আলো শোষণ করে শক্তিতে পরিণত করবে আর সাইকেলে থাকা মোটরকে চালাতে সাহায্য করবে। ধানুশ জানিয়ছেন, ২৪ ভোল্ট এবং ২৬ অ্যাম্পারের ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে সাইকেলে। যদি ব্যাটারিতে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া থাকে তাহলে ৩০ কিমি যেতে কোনও সমস্যা হবে না। তবে ব্যাটারির শক্তি আর বাড়ালে ৫০ কিমি খুব সহজে এই সাইকেলে চড়ে চলে যাওয়া সম্ভব আর স্পিড! স্কুটারের থেকে খুব একটা কম নয় বলেই জানাচ্ছেন ধানুষ। তাঁর আবিষ্কার দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেক মানুষ। শুধু তাই নয়, মুল্যবৃদ্ধির বাজারে অনেকেই সৌর শক্তিতে চালিত এই সাইকেল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

এত সস্তায় জার্নি!

এই সাইকেলে যাতায়াত পেট্রোলের দামের থেকেও কম। ধানুষ জানাচ্ছেন, একবার ব্যাটারি চার্জ দিলে অন্তত ২০ কিমি যাওয়া যাবে সহজে। এরপর কিছুটা কমলেও একবারে বন্ধ হয়ে যাবে না। ব্যাটারিতে থেকে শক্তি উতপন্ন হচ্ছে সেই খরচ খুব কম। ধানুষের মতে, ৫০ কিমি যেতে খুব বেশি হলে খরচ পড়বে মাত্র দেড় টাকা। সর্বোচ্চ ৪০ কিমি বেগে যেতে পারে।

কীভাবে এমন একটা সাইকেল তৈরির কথা মাথায় এল?

ধানুশের কথায় পড়াশুনা করতে করতে এমন একটি জিনিস তৈরির কথা মাহায় আসে। যেভাবে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রিক এবং সৌরশক্তিকে চলবে এমন গাড়ি ভবিষ্যৎ। আর তখন থেকে এই সাইকেলকে ঘিরে তাঁর ভাবনা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ধানুষ। তবে এই কাজ করার ক্ষেত্রে তাঁর পড়াশুনা বেশ কাজে এসেছে। কারণ ফিজিকস এবং এনার্জি নিয়ে পড়াশুনা ছিল তাঁর। আর সেটাই এই সাইকেল তৈরির কাজে লেগেছে বলে দাবি পড়ুয়ার।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More CYCLE News  

Read more about:
English summary
Madurai college student, Dhanush Kumar designs solar-powered electric cycle