করোনা ভাইরাসের পর থেকে এখন জীবনের স্বাভাবিক অঙ্গ হয়ে গিয়েছে মাস্ক। প্রত্যেক সময় বাইরে বেরনোর জন্য নিজেদের ও অপরের সুরক্ষার কথা ভেবে মাস্ক পরা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে উচ্চ–তীব্রতর শরীরচর্চা বা জগিং ও দৌড়ানোর ক্ষেত্রে মাস্ক পরার পরামর্শ কখনই সেভাবে দেওয়া হয়নি। মাস্ক পরে দৌড়ানোর ফলে একাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেরকম একই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা গেল চিনের উহান শহরে।
চিকিৎসকদের মতে, ওই ব্যক্তির বাম ফুসফুসটির ৯০ শতাংশ বিকল হয়ে গিয়েছে, তার হৃদযন্ত্রকে তাঁর শরীরের ডান দিকে নিয়ে গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিকল হয়ে যাওয়া ফুসফুসটি নিউমোথোরাক্স হিসাবে পরিচিত, যখন বায়ু ফুসফুস এবং বুকের প্রাচীরের মধ্যেকার স্থান ফাঁকা হয়ে যায়, সেই সময় শ্বাসকষ্ট এবং সম্ভাব্য মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় ওই ব্যক্তি মাস্ক পরে দৌড়াচ্ছিলেন বলে ফুসফুস ফেটে যায় বলে বিশ্বাস চিকিৎসকদের। চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন যে মাস্ক পরে দৌড়ালে ফুসফুসের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাওয়া যায় না।
তবে করোনা কালে মাস্ক সকলের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি জিনিস হয়ে উঠেছে। বাড়ির বাইরে যেতে হলে এখন মাস্ক খুবই প্রয়োজন। এতে কিছুটা হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের মতে, সামাজিক দুরত্ব, মাস্ক পরা এই সবকিছুই টিকাকরণের পরও বজায় রাখতে হবে। তবেই সুস্থভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব হবে। তবে ফাঁকা জায়গায় একা ভারী কাজকর্ম বা শরীরচর্চা করার সময় মাস্ক না পরাই ভালো বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!