বরাকরের ঘটনায় আরও ৩ পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হল। এর আগে ২ পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বরখাস্ত করা হয়েছে ৫ সিভিক ভলেন্টিয়ারকেও। গতকাল পুলিশ হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বরাকর। ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার বন্দির মৃত্যুর খবর ছড়িেয় পড়তেই পুলিশের উপর চড়াও হন বাসিন্দারা।
সাসপেন্ড করা হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর সুভাষ দাস, আলি রেজা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর সরোজ তিওয়ারিকে। আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল অমরনাথ দাস ও কুলটিথানার সাব ইন্সপেক্টর প্রশান্ত পালকে। কেন বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ লকআপে মারধর করায় ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আরমান মহম্মদ নামে এক যুবককে। তারপর থেকেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। সেদিন রাতেই আরমানকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালেই মারা যায় আরমান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আরমানের বাড়ির লোকেরা পুলিশের উপর চড়াও। তার বাড়ির লোকেরা দলবল নিয়ে এসে পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এমন কী পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিেয় দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরিস্থিতি সামল দিয়ে কুল্টি থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়।