রাজীব-সব্যসাচীকে নিশানা
সৌমিত্র খাঁয়ের পর এবার বেসুরো বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ফেসবুক লাইফে সরাসরি নাম করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তকে নিশানা করেছেন। অমৃতা অভিযোগ করেছেন দল বিরোধী কথা বলার পরেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করা হয় না। রাজীব-সব্যসাচী দত্তরা আসলে দালাল। বিজেপিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে দালালি করেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজীব-সব্যসাচীদের মতো নেতাদের কারণেই বিজেপি হেরেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ফোন ধরেন না নেতারা
বিজেপি নেত্রীর আরও অভিযোগ ফোন ধরেন না দলের বড় নেতারা। তাঁরা কর্মীদের আবেগ বুঝতে চান না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল মোদীর মন্ত্রিসভায় জন বার্লা, নিশিথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুরদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া নিয়ে বঙ্গের একাধিক বিেজপি নেতা প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রিত্ব খুইয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি রাগে পদত্যাগ করেছেন।
শুভেন্দুকে নিশানা সৌমিত্রর
গতকাল অর্থাৎ বুধবার প্রকাশ্যে সৌমিত্র খাঁ ফেসবুক লাইভ করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন। তিিন অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের নেতাদের সম্পর্কে ভুল বুঝিয়ে আসছেন। রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল ভোটের সময়। শুভেন্দু অধিকারীর কথা শুনেই এই সব করেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই তিনি যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে বিজেপিতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
মন্ত্রিত্ব নিয়ে অসন্তোষ
জন বার্তা, শান্তনু ঠাকুর এবং নিশীথ প্রামাণিককে মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন। জন বার্লা গত কয়েকদিন ধরেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে তাই উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য দাবি করেছিলেন তিনি। তার পরেও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই নিয়ে দলের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।