গ্রামে গ্রামে ছুটছেন ডঃ গাঙ্গুলি
অতিমাত্রায় করোনা সংক্রমণের কারণে একুশের নির্বাচনের ফল বেরনোর কিছুদিন পরেই লকডাউনের পথে হাঁটে রাজ্য। তারপর থেকেই গৃহবন্দি সবাই৷ এই সময়টাতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উপরও হামলা হয়৷ লকডাউন চলাকালীন নিজের উদ্যোগে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন ডঃ অনিবার্ণ গাঙ্গুলি৷ আর লকডাউন মিটতেই তাঁকে দেখা গেল কুলতলি সংলগ্ন এলাকার ঘরছাড়া ও আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের মাঝে৷
লাল মাটির রাস্তায় ভ্যানে চেপেই গ্রামে ত্রান পৌঁছে দিচ্ছেন অনির্বাণ
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষে টানা ভ্যানে চেপে বাংলার বিভিন্ন গ্রামের ভিতর ঢুকছেন ডঃ অনিবার্ণ গাঙ্গুলি৷ ইয়াশ বিদ্ধস্ত মানুষের জন্য খাবার, ওষুধ, ত্রিপল পৌঁছে দিচ্ছেন। কিন্তু বোলপুরে হেরেও গ্রামে গ্রামে ছুটছেন কেন? উত্তর দিচ্ছেন অনিবার্ণ-ই, তিনি বলেন, 'ভোট আসবে যাবে, কিন্তু এখন মানুষের পাশে থাকার সময়৷ এখন চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না।।
বাংলার ভালোর জন্যই দিল্লি ছোটেন অনির্বাণ বলছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ
ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বড় অংশে দিল্লিতে বাংলার জন্য দাবিদাওয়া তুলে ধরতেন৷ তাঁর পরে বাংলা থেকে একমাত্র প্রণব মুখোপাধ্যায়ই বাংলা থেকে ছাপ রেখেছেন জাতীয় রাজনীতিতে৷ প্রণববাবু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের আগাগোড়া বেশিরভাগ সময়ই থেকেছেন দিল্লিতে। তাতে বাংলার রাজনীতি শক্তিশালী হয়েছে দূর্বল হয়নি৷ ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলিকে নিয়েও শিক্ষিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাদের বড় অংশ একই রকম আশা রাখেন৷ ফেসবুকে ডঃ গাঙ্গুলির পোস্টের কমেন্টে প্রচুর বিজেপি সমর্থক তাঁর দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগকে সমর্থন জানিয়ে যান৷ অবশ্য এই দিল্লির রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে অনেকের সমালোচনা ও ব্যক্তি আক্রমণের মুখে পড়তে হয় অনির্বাণকে৷
আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে কী বলছেন অনির্বাণ
ডঃ গাঙ্গুলি বলেন, ২রা মের পর রাজ্য জুড়ে গণতন্ত্র ধ্বংসের সমস্ত প্রচেষ্টায় চলছে শাসক দলের মদতে৷ এখানে বিজেপি করার অপরাধে মানুষকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়৷ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়, গ্রামছাড়া করা হয়। শাসক দল যেন ভুলে না যায় এই ক্ষমতা মাত্র পাঁচবছরের তারপর আবার সেই মানুষের দরবারেই আসতে হবে মাননীয়া কে৷ আর মানুষ সবে মনে রাখে৷ সব কিছুর জবাব সময় মতোই পাবে তৃণমূলের গুন্ডারা৷ তবে এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জটা সব শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকেই নিতে হবে৷