ভুয়ো কারবারে ব্যস্ত শহর
দেবাঞ্জন দেব কসবা থানার নাকের ডগায় ভুয়ো কলকাতা কর্পোরেশনের অফিস খুলে বসেছিলেন। তারপর সেখান থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। তবে মধ্যে থেকে যদি সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এগিয়ে না আসতেন এযাত্রায় দেবাঞ্জনও যেমন ধরা পড়ত না, ঠিক তেমনই বাকিরাও ধরা পড়ত না। দেবাঞ্জন ধরা পড়ার পরেই গাড়িতে নীলবাতি লাগানোর অপরাধে সনাতন রায়চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তারপরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে বিস্তারিত নানান তথ্য। অন্যদিকে ভুয়ো এনআইএ আধিকারিক পরিচয়ে বিয়ে করার ৪ বছর পরে পুলিশের জালে দেবেশ কোলে নামে এক ব্যক্তি।
পুলিশের জালে ভুয়ে ডিএসপি
পুলিশের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা। ডিএসপি পরিচয় দিয়ে জাল বিস্তার করেছিল এক যুবক। সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। শালবনির এক যুবকের কাছ থেকে ভুয়ো প্রতিশ্রুতিতে টাকা আদায়। তারপর তাঁর বন্ধুদের থেকেও একইভাবে টাকা আদায়। এরপর মেদিনীপুরের পাশাপাশি কলকাতা চাঁদনিচকের এক হোটেলে ডেকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশের জালে ৪
শালবনির বাসিন্দা সমরেশ মাহাতোর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্ত মাসুদ রানা ছাড়াও রবি মুর্মি, শুভ্র নাগরায় এবং পরিতোষ বর্মণকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা-সহ বেশ কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সমরেশ মাহাতোর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে হোমগার্ডের চাকরির কথা বলেছিল মাসুদ রানা এবং তার সহযোগীরা। মাসুদ রানা নিজেকে পুলিশের ডিএসপি বলে পরিচয় দিত বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ সমরেষ ও তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার পরে তাঁদের ভুয়ো পরিচয়পত্র ছাড়াও, খাকি টুপি, বেল্ট দিয়েছিল মাসুদ ও তার সহযোগীরা।