আইন মানতে বাধ্য টুইটার, বিতর্কের মাঝেই হুশিয়ারি নতুন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

সরকার-আদালত সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই মাথা ঝুঁকিয়েছে টুইটার। কেন্দ্রের বিতর্কিত আইটি আইন মেনে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে এই বিশ্বখ্যাত মাইক্রোব্লগিং সংস্থা। এমকী কেন্দ্রের নীতি মেনে তিনি ভারতীয়ই হবেন বলে জানানো হয়েছে। যদিও তারপরেও হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়লেন না নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য-প্রযু্ক্তি মন্ত্রী।

“নতুন আইটি আইন মেনেই চলতে হবে টুইটারকে। নইলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। ভারতের যে কোনও নাগরিক বা সংস্থা, যারা ভারতে বসবাস করছেন, ব্যবসা করছেন তাদের ভারতের আইন মানতেই হবে।” ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই একথা জানিয়ে দিলেন নয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গতকালই মোদী মন্ত্রিসভার ব্যাপক রদবদলের পর নতুন এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

এদিকে নয়া গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগে টুইটারের ঢিলেমিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দিল্লি হাইকোর্টও। এতদিন আইন না মানায় এখন থেকে কেন্দ্র চাইলে টুইটারের বিরুদ্ধে নয়া আইন মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে পারে বলে সাফ জানানো হয়েছে দিস্লি হাইকোর্টের তরফে। অন্যদিকে টুইটারের গড়িমসি নয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবেরও সাফ দাবি দেশের আইন সবার জন্য সমান এবং সবাইকে তা মানতে হবে।

চাইলে টুইটারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে করতে পারে কেন্দ্র, স্পষ্ট বার্তা দিল্লি হাইকোর্টের চাইলে টুইটারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে করতে পারে কেন্দ্র, স্পষ্ট বার্তা দিল্লি হাইকোর্টের

প্রসঙ্ত উল্লেখ্য, গত বুধবার মোদী মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল দেখে গোটা দেশ। তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রবিশঙ্কর প্রসাদকে। এদিকে দ্বিতীয় বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেন্দ্রের আইন, বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব ছিল তাঁরই কাঁধে। এখন তার জায়গায় নতুন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী হয়েছেন এই অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর এই অশ্বিনীই যে আগামীতে টুইটারের জন্য সবথেকে বড় ভয়ের কারণ হতে চলেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More TWITTER News  

Read more about:
English summary
Twitter must obey the law, the new message of the new Information Technology Minister Ashwini Vaishnav