দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ এবং তৃণমূলকে আক্রমণ
ভোটের আগে চাটার্ড বিমানে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ না করলেও, তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ডোমজুড় থেকে সাফল্য পেতে ব্যর্থ হন। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর পরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে সক্রিয়ভাবে আর দেখা যায়নি।
পুরনো দলে ফেরা নিয়ে জল্পনা
ভোটের পরে কখনও তৃণমূল নেতাদের বাড়ি আবার কখনও ফেসবুক পোস্টে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বাড়িয়ে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর নিজের এলাকা ডোমজুড়ে প্রবল বিরোধিতা তৈরি হয়। অন্যদিকে তিনি সম্প্রতি স্ত্রী হারা মুকুল রায়ের বাড়িতেও গিয়েছিলেন. সেখানে তিনি মুকুল রায় ছাড়াও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর সঙ্গেও কথা বলেন। তবে এইসব সাক্ষাৎকারকে তিনি রাজনৈতিক বলতে রাজি হননি।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা
ভোটের প্রচারে যে শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার করেছিলেন, সেই শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করে নিজের পুরনো দলে ফেরার জল্পনা আরও বাড়িয়ে তুলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে বলেন, বিরোধী নেতাকে বলব... যাঁর নেতৃত্বে ও যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩ টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।
পাল্টা আক্রমণ দিলীপের
এব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কিছু কিছু লোক আছেন, তাঁরা ঠিক করতে পারছেন না, কী করবেন, কোথায় যাবেন। তিনি কোনও দলের পদাধিকারীও নন। তাঁর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনও বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্তব্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ভোট সামনে না থাকায় এখনও কতদিন রাজীব ও বিজেপির মধ্যে এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, এখন সেটাই দেখার।