থানায় আত্মসমর্পণ করে স্বামী!
বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। চিতপুর থানাতে ব্যস্ততা। হঠাত করে এক যুবকের দাবি, তিনি নাকি স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন। কার্যত চমকে যান থানায় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরাও। সঙ্গে সঙ্গে চিৎপুর থানা এলাকার রাজা মণীন্দ্র রোডের একটি ফ্ল্যাটে কার্যত হানা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে কার্যত চমকে ওঠেন পুলিশ আধিকারিকরা। দেখেন ওই যুবকের দাবি মতো বিছানাতে পড়ে রয়েছে স্ত্রীয়ের নিথর দেহ।
শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা!
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শ্বাসরোধ করে সম্ভবত খুন করা হয়েছে। গলাতে দাগ আছে। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম মুনমুন দাস। থানায় আত্মসমর্পণকারী ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় দাস। সম্পর্কে দুজনে স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের একটা পুত্র সন্তান আছে বলেও জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, ১টা নাগাদ মুনমুন দাসের স্বামী সঞ্জয় দাস থানায় যান এবং পুলিশকে জানান যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন। এটি জানার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকদের পাঠানো হয়।
সন্দেহের বসে এই খুন!
জানা যাচ্ছে, সন্দেহের বসে এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবুও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্ক ছিল স্ত্রীয়ের । আর সেজন্যে এই ঘটনা সে ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে পরিবারের অন্যাণ্য সদস্যদেরও জেরা করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের কাছ থেকেও তাঁদের বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে চিৎপুর থানার পুলিশ, রয়েছেন ফরেন্সিক আধিকারিকরাও। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারও এসেছেন। তবে পাড়ার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।