দৈনিক করেনা সংক্রমণ হাজারের নীচে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের দৈনিক করেনা সংক্রমণ আরও কমল। আক্রান্ত হয়েছে ৯৯৫ জন। ওদিকে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। একদিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এই মারন ভাইরাসে। তবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে জলপাইগুড়ি জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় মারা গিয়েছেন ৪ জন। ৩ জন করোনা রোগী মারা গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনায়। তারপরেই রয়েছে হাওড়া এবং কলকাতা। এই দুই জেলায় ২ জনকে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ১ জন করে করোনা রোগী মারা গিয়েছেন কোচবিহার, দার্জিলিং, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়ায়। ১৩ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে কারোর মৃত্যু হয়নি।
শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর
করোনা সংক্রমণে শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ জন। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। সেখানে ৯৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং জেলা। সেখানে ৮৮জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায়গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে কড়া বিধিনিষেধ
করোনা পরিস্থিতি দেখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা বিধিনিষেধ করা হয়েছে। ৭টি থানা এলাকাকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সাত থানা এলাকায় আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত দোকান বাজার সব বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। গড়বেতা,খড়গপুর,কেশিয়াড়ি,নারায়ণগড়, ঘাটাল, বেলদা, মেদিনীপুর কোতয়ালি থানা এলাকায় মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজ্যে কমছে সংক্রমণ
সার্বিক ভাবে যদিও রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কম। কমেছেন মৃত্যুর হারও। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। কিন্তু সতর্ক থাকতে লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক করা হয়নি। এই নিয়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হলেও মমমতা সরকার কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড়।