মন্ত্রিসভায় রদবদল
অবশেষে বহু চর্চিত মোদীর মন্ত্রিসভার রদবদল চূড়ান্ত হল। পরিকল্পনা করে গুটি সাজিয়ে ফেলেছেন নতুন মন্ত্রিসভার মধ্য দিয়ে। ২০২৪-র লোকসভা ভোটের কাজ যাতে সহজে করা যায় তার জন্য সবরকম পদক্ষের করেছে মোদী। বেছে মন্ত্রীেদর জায়গা দেওয়া হয়েছে। কাদের নিয়ে এলে কোন সমীকরণে ভোট পাওয়া যাবে তার ছক সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। অমিত শাহের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উত্তর প্রদেশে বেশি গুরুত্ব
সামনেই উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট। মনে করা হয় উত্তর প্রদেশ বা গোবলয়ের ভোটেই ঠিক হয় দিল্লির মসনদ কার দখলে যাবে। তাই উত্তর প্রদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মোদী। একা উত্তর প্রদেশ থেকেই ৮ জনকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। কাজেই মোদীর এই পদক্ষেপেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই মন্ত্রিসভায় উত্তর প্রদেশকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কর্নাটকের গুরুত্ব
একই ভাবে কর্নাটককেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মোদী। এই রাজ্যেও ভোট এগিয়ে আসছে। ইয়েদুরাপ্পার গদি টলমল। দলের মধ্যেই ইয়েদুরাপ্পার বিরোধিতা শুরু হয়েছে। দিল্লিতে গিয়ে অনেকেই ইয়েদুরাপ্পার নামে নালিশ ঠুকে এসেছে। এমনকী ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে অনেকেই নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান বলে দিল্লিতে দরবার করে এসেছেন।
দলিতদের বিশেষ জায়গা
মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। দলিত নেতাদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার নেপথ্যেও রয়েছে সেই উত্তর প্রদেশের ভোট। যেভাবেই হোক উত্তর প্রদেশে ক্ষমতা বজায় রাখতে মরিয়া বিজেপি। ইতিমধ্যেই অযোধ্যা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক সেরেছেন তিনি। অযোধ্যার উন্নয়নের কাজ কতটা এগোল তার খোঁজ খবর নিয়েছেন।
ইয়েদুরাপ্পাকে বার্তা
কর্নাটকে সদানন্দ গৌড়াকে সরিয়ে দিয়ে কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী নেতাদের একরকম বার্তা গিয়েছে মোদী। কারণ গত কয়েক মাস ধরে কর্নাটক বিজেপিতে ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী হাওয়া মাথাচারা দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব েয তাতে খুব একটা প্রভাবিত নন েসটা সদানন্দ গৌড়াকে সরিয়েই বার্তা দিয়েছেন মোদী।