জিকা উপদ্রব
এখনও পর্যন্ত যা খবর , তাতে পুনের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে কেরলের ১৩ টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর আগে জিকা আক্রান্ত হিসাবে সন্দেহ করে ১৯ টি নমুনা আসে কেরল প্রশাসনের হাতে। সেখানে ১৩ জনের নমুনা সন্দেহজনক হওয়ায় তা পুনের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
হু কী বলছে?
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে জানা গিয়েছে যে জিকা ভাইরাস মূলত মশাবাহিত রোগ। এর আগে ১৯৪৭ সালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব প্রথম উগান্ডাতে দেখা যায়। কেরলে মূলত তিরুঅনন্তপুরমে একের পর এক জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেস রয়েছে। মূলত মশাবাহিত ফ্ল্যাভিভাইরাস থেকে এই জিকা ছড়িয়ে পড়ে।
আক্রান্ত বিশ্বের বহু দেশ
প্রথমবার উগান্ডাতে এক বানরের দেহে জিকা ভাইরাস দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে আমেরিকা,তানজানিয়া সহ বিশ্বের বহু দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিহাস বলছে, প্রথমে জিকা ছড়িয়ে পড়ে বানরের দেহে। তারপর ১৯৫২ সালে তা থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে এই মারণ ভাইরাস। আফ্রিকা , আমেরিকা, এশিয়া এর হাত ধরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রসত।
উপসর্গহীন রোগ!
জানা যাচ্ছে, জিকা ভাইরাস কোনও উপসর্গ ছেড়ে যায়না। তবে জিকার আক্রমণে জ্বর আসে। গায়ে ব়্যাশ হবে। জয়েন্ট পেইন দেখা যাবে। একই সঙ্গে চোখে সংক্রমণ দেখা যাবে। মশা থেকে বর্ষায় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া ছড়ানোর আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।