ভালোবাসার নাম এরিকসেন
ডেনমার্ক ওয়েম্বলিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচ থেকে সেমিফাইনালে ওঠা অবধি ডেনমার্কের অনুপ্রেরণা অবশ্যই ক্রিশ্চিয়ানো এরিকসেন। ফুটবল কেরিয়ার যখন অনিশ্চয়তায় ভরা, তখনও প্রতি মুহূর্ত এরিকসেনের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন বাকি সতীর্থরা। এমনকী অন্য দল এবং বিভিন্ন স্টেডিয়ামে দর্শকরা ভালোবাসা, শুভকামনা উজাড় করে দিয়েছেন এরিকসেনের জন্য। এবার ডেনমার্ক ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে। হাসপাতাল থেকে ছুটিও পেয়েছেন এরিকসেন। রয়েছেন দেশেই।
উয়েফা প্রেসিডেন্টের উদ্যোগ
ওয়েম্বলিতে ১১ জুলাই ফাইনালে এরিকসেন ও তাঁর স্ত্রীকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খোদ উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার সেফেরিন। শুধু তাই নয়, যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তৎপরতায় এরিকসেনের জীবন বাঁচানো গিয়েছে সেই ছয়জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ফাইনাল দেখার জন্য। উয়েফার তরফে জানানো হয়েছে, এরিকসেন ও তাঁর স্ত্রী সাবারিনা জেনসেনকে খোদ উয়েফা প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আসবেন কি এরিকসেন?
প্যারামেডিক পেডার এর্সগার্ড, যিনি সেদিন মাঠে ছুটে গিয়েছিলেন এরিকসেনের প্রাণ বাঁচাতে, তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা উয়েফার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি অনেকটা শিশুদের কাছে ক্রিসমাস ইভে উপহার পাওয়া মতো। উয়েফা ফাইনাল দেখার সুযোগ যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। তাঁর কথায়, প্রথমে আশ্চর্য লাগলেও এই আমন্ত্রণ পাওয়া দারুণ অনুভূতি, যেন হাওয়ায় উড়ছি এতটাই অভিভূত! তবে আরও এক চিকিৎসক এখনও আমন্ত্রণ পাননি। ফলে যেহেতু এরিকসেনকে বাঁচানোর কর্তব্য টিমগেম হিসেবে সকলে করেছেন তাই ওয়েম্বলিতে যাওয়ার নিশ্চয়তা এখনই দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এরিকসেন হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়়া পাওয়ার পর তাঁর ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। ১৯৯২ সালে ইউরো জিতে চমকে দিয়েছিল ডেনমার্ক। ইংল্যান্ডকে বুধবারের ওয়েম্বলিতে হারালেই আসবে ফের ট্রফি জয়ের সুযোগ। আর সেই টানেই এরিকসেন ওয়েম্বলিতে থাকতে পারেন বলে আশায় আয়োজকরা।