কোটি টাকা বাংলা থেকেই রোজগার হয়েছে
এই অবস্থায় কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, "সপ্তাহে চার বার করে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকেই রোজগার হয়েছে কেন্দ্রের। তোপ মমতার। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদীর সরকার মানুষের পকেট কাটছে বলেও এদিন তোপ দেগেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।। শুধু তাই নয়, মমতার দাবি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভরছে মোদী সরকার। বাসে-ট্রেনে চড়বেন কী ভাবে মানুষ? কৃষক চাষ করবেন কীভাবে?
কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলের দাম বাড়াচ্ছে এটা ঠিক নয়!
পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পেট্রোল-ডিজেলে মূল্যবৃদ্ধি প্রশ্ন করতেই এদিন কার্যত কিছুটা ক্ষুব্ধ হন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পাল্টা দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলের দাম বাড়াচ্ছে, এই যে ব্যখ্যাটা কেউ কেউ করছেন, এটা ঠিক নয়। তৃণমূল পরিচালিত সরকারকে বলব, এত যদি দরদ হয়, তাহলে কেন ছাড়ের ঘোষণা করছেন না। এতে তো সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। না থেমে শুভেন্দু আরও বলেন, সরকার বিধান পরিষদ গঠন করবে। এতে তো প্রচুর টাকা খরচ হবে। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
দিল্লিতে আন্দোলন করব!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৩৮ টাকা কর নিচ্ছে। কেন ২০টাকা ছেড়ে দিচ্ছে না সরকার? যেদিন এই ২০ টাকা ছেড়ে দেবে সরকার সেদিন তেলের দাম কমানো নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করব। কেন্দ্রকে বলব, রাজ্য যদি ছাড়তে পারে তাহলে তোমরা কেন পারছ না?
সেঞ্চুরি জ্বালানির দামে
পেট্রোল-ডিজেলের দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ বুধবারও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতায় নতুন দাম ১০০ টাকা ২৩ পয়সা। ডিজেলেরও দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেট্রোলের সঙে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ডিজেলের দামও। এক লিটার ডিজেলের দাম ৯২ টাকা ৫০ পয়সা। আগামিদিনে আরও মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। এই অবস্থায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ফের সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির দায় কেন্দ্রের উপরেই চাপালেন তিনি।