ঠাকুরনগরে জন্ম শান্তনুর
৩রা আগস্ট ১৯৩৮ এ উত্তর চব্বিশ পরগণার ঠাকুরনগরে জন্ম শান্তনু ঠাকুরের। রাজনীতি শান্তনুর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। বাবা মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী৷ মা ছবি রানি ঠাকুর সরাসরি রাজনীতিতে আসেনি৷ তবে মতুয়া সমাজে তাঁর প্রভাব ছিল বরাবর৷
সিডনির ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন শান্তনু
ইংরাজি সাহিত্যে অনার্স এবং পাশাপাশি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের উপর ডিপ্লোমা ডিগ্রি রয়েছে শান্তনুর। কর্ণাটক মুক্ত বিদ্যালয় এবং সিডনি ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করে ডিগ্রি নিয়েছেন শান্তনু৷
প্রথমবার সাংসদ হয়েই মন্ত্রী হচ্ছেন শান্তনু
শেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে চরম বিরোধের মাধ্যমে বিজেপিতে পা রাখেন শান্তনু৷ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হিসাবে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে লড়েন। এবং বড় ব্যবধানে নিজের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতুয়া পরিবারের মেয়ে এবং তৃণমূল পদপ্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরকে পরাজিত করেন৷ শেষ লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্রে শান্তনু পেয়েছিলেন ৬,৮৭,৬২২ টি বা ৪৮.৮৫ শতাংশ ভোট।
সিএএ নিয়ে কেন্দ্র বিজেপির সঙ্গে সমস্যা
২০১৯ এ সাংসদ হলেও তখনই শান্তনুকে মন্ত্রী করেনি নরেন্দ্র মোদীর দল। এ নিয়ে কিছু ক্ষোভ তো ছিলই তারপর লোকসভা ভোটের আগে মতুয়াদের সিএএ-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সময় মতো সিএএ চালু করা নিয়ে বিজেপি উচ্চবাচ্য না করায় প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করে অন্য ভাবনা ভাবার কথা বলেছিলেন শান্তনু৷
শান্তনুকে মন্ত্রী করে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মোদী
প্রথম মন্ত্রিত্ব দিয়ে শান্তনুর ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করল বিজেপি৷ পাশাপাশি বিজেপিকে দুহাতে ঢেলে ভোট দেওয়া মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ২০২৪ এর রাস্তা এখন থেকে পরিষ্কার রাখলেন মোদী।