পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ
বিপুল ভোটে মানুষের রায়ে তৃতীয়বারের জন্যে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ক্ষমতায় ফিরতেই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল তৃণমূল সরকার। তবে শারীরিক ভাবে অসুস্থতার জন্যে এদিন অর্থমন্ত্রী হিসাবে বাজেট পেশ করতে পারেননি অমিত মিত্র। বাজেট পেশ করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাজেট নিয়ে বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন তিনি। উল্লেখ্য ভোটের আগে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ হয়েছিল।
রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ!
রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আরও একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, মমতার কথায়, ''এখনও ৩৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা পাই। এত বঞ্চনার পরও রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে।'' একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, "ইয়াশের ক্ষতিপূরণও মেলেনি। রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে।" শুধু তাই নয়, করোনার ভ্যাক্সিন সহ একাধিক বিষয় নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন তিনি। কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
হিসাব দিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা মমতার
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত একেবারে হিসাব দিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বলেন, ১১ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়নি এখনও। ২০১৯-'২০ তে রাজ্য এই বরাদ্দ টাকা পাওয়া যায়নি। ২০২০ থেকে ২১ এ বাংলার জন্য কেন্দ্র ৫৮ হাজার ৯৫২.৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু পেয়েছি ৪৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ১ লক্ষ টাকা। ১৪ হাজার ২২৫ কোটি ৫৪ লক্ষ কোটি টাকা কম পেয়েছি। বাজেট শেষে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এত বঞ্চনার মধ্যেও যেভাবে মানুষ তাঁদের পাশে রয়েছে যেজন্যে ধন্যবাদ জানান।
পেট্রোল-ডিজেলের মৃল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোপ
ইতিমধ্যে ১০০ টাকা ছুঁড়েছে পেট্রলের দাম। ক্রমশ বাড়তে চলেছে ডিজেলের দামও। এই অবস্থায় কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, "সপ্তাহে চার বার করে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকেই রোজগার হয়েছে কেন্দ্রের। তোপ মমতার। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদীর সরকার মানুষের পকেট কাটছে বলেও এদিন তোপ দেগেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।। শুধু তাই নয়, মমতার দাবি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভরছে মোদী সরকার। বাসে-ট্রেনে চড়বেন কী ভাবে মানুষ? কৃষক চাষ করবেন কীভাবে?
পিএম কেয়ার্স সহ একাধিক বিষয়ে তোপ
সামনে তৃতীয় ঢেউ আসছে। সেদিকে নজর নেই বলে কেন্দ্রকে তোপ মমতার। চাহিদা মতো ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেখানে ভাআকসিনের অভাবে গেপ পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পিএম কেয়ার্সে দুর্নীতি হয়েছে বলে ফের একবার তোপ মমতার। কেন হিসাব সামনে আনা হচ্ছে না। এত টাকা কোথায় গেল প্রশ্ন মমতার।