মুকুলের বিজেপি ত্যাগে কৈলাশকে নিয়ে জল্পনা
এবার বাংলার নির্বাচনে বিজেপিকে সাফল্য এনে দেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন কৈলাশ। কিন্তু ফলাফল সে অর্থে ভালো হয়নি। বিজেপি মাত্র ৭৭টি আসনেই থমকে গিয়েছে। আর তারপর মুকুল রায় বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে ফিরে যান। তখন থেকেই কৈলাশকে নিয়ে জল্পনা চলছিল। মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের পর কৈলাশ বঙ্গ রাজনীতিতে ফিরতে চাইছেন না।
কৈলাশ একটা মন্ত্রই জপছেন- আর নয় বাংলা
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইলও কৈলাশ বিজয়বর্গীয় চাইছেন না আর বাংলায় ফিরে আসতে। বাংলা নিয়ে তিনি আর মাথা ঘামাতে নারাজ। যে কৈলাশ বাংলায় পরিবর্তন আনতে বিজেপির শাসন আনতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন, তিনি এখন একটা মন্ত্রই জপছেন- আর নয় বাংলা। অর্থাৎ মুকুল রায়কে হারিয়ে তিনি আর ফিরতে চান না বাংলায়।
মুকুলের সরে যাওয়ার পর মন ভেঙেছে কৈলাশের
বাংলার রাজনীতিতে মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয় একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কৈলাশ তাঁর সহযোদ্ধা হয়ে উঠেছিলেন, তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে হটাতে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু মুকুল রায়ের সরে যাওয়ার পর কৈলাশের মনও ভেঙে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে কাকে দেখা যাবে
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে এখনও অফিসিয়ালি বাংলার দায়িত্বে রয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। কিন্তু তিনি চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে। এবার তাঁর জায়গায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে কাকে দেখা যায়, সেটাই দেখার। বাংলায় কৈলাশের সহকারী পর্যবেক্ষকদের দায়িত্বে দেখা যায়, নাকি নতুন কাউকে আনা হয়।
বাংলার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে নতুন মুখ?
কৈলাশের সহকারী হিসেবে বাংলায় এতদিন কাজ করেছেন অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্য। তাঁদের মধ্যে একজনকে এই দায়িত্বে আনা হয়, নাকি কোনও নতুন মুখকে দায়িত্বে আনা হয়, তা বলবে ভবিষ্যৎ। ভোট প্রকাশের পর রাজ্যে এসেছিলেন তরুণ চুঘ, তাঁকেও বাংলার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আনা হতে পারে।
রাজ্যের কার্যকারিণী বৈঠকেও নিষ্ক্রিয় কৈলাশ
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কেন্দ্রীয় নেতা হলেও বাংলায় তিনি মুকুল-ঘনিষ্ঠ। তাই বিজেপির একাংশ তাঁকে চাইছে না। সম্প্রতি রাজ্যের কার্যকারিণী বৈঠকেও তাঁকে দেখা যায়নি। শেষের দিকে একবার এসেছিলেন তিনি। জেপি নাড্ডা বৈঠক থেকে বেরিয়ে য়াওয়ার পরই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় চলে যান। কোনও কথা বলেননি তিনি। ফলে বাংলা থেকে তাঁর অপসারণ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।