মাঝ আকাশে নিখোঁজ একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটিতে ২৮ জন যাত্রী ছিলেন। একটা সময়ের পর রাশিয়ার ওই বিমানটির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানের খোঁজে কার্যত হুলস্থুল কাণ্ড। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বিমানটির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযানও। যদিও বিমানটির ভেঙে পড়ার সম্ভাবনার কথা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও শেষ আশায় বুক বাঁধছেন তদতকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, এন-২৬ নামে রাশিয়ার বিমানটি কামচাতস্কি পেনিনসুলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। পেট্রোপাভলোভস্ক থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পেনিনসুলার পৌঁছানোর অনেক আগেই বিমানটির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
একাধিকবার বিমানটির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এর পরে উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়। শুরু হয়েছে তল্লাশি। কিন্তু এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে, বিমানটিতে মোট ২৮ জন যাত্রী ছিল। যার মধ্যে ছয়জন ছিলেন বিমান কর্মী। এছাড়াও যাত্রীদের মধ্যে দুজন শিশু ছিল বলেও জানা যাচ্ছে।
বিমানটির অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। পালানা শহরের কোনও কয়লা খনিতে কি বিমানটি ভেঙে পড়েছে? এমনকি সমুদ্রের বুকেও বিমানটি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
রাশিয়ার বুকে একাধিক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার খবর ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। বিমানগুলির রক্ষণাবেক্ষন এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও গত কয়েকমাস আগে রাশিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে আরও আধুনিক করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।