বৈঠক ডেকেও বাতিল হয়!
প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্যাবিনেট সম্প্রসারণ নিয়ে আগে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো বর্ষীয়ান মন্ত্রী এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক আলোচনা করেছেন। সূত্রের আরও খবর এই সপ্তাহের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে চলেছে। এবারের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে জেডিইউ, এলজেপি পরশের মতো সহযোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এছাড়াও মন্ত্রকের রদবদলও করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করতে আজ মঙ্গলবার বৈঠক ডাকা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়।
জরুরি তলব শান্তনু ঠাকুরকে!
এখনও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে একাধিকবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শান্তনু। এবার মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করতে চলেছেন মোদী সরকার। এমনটাই জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে সাংসদকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। যদিও গত কয়েকদিন আগে এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে নাড্ডা-শাহদের।
মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নিশীথ প্রামাণিকও!
শুধু শান্তুনুকে নয়, নিশীথ প্রামাণিককেও জরুরি দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের একটা শক্ত ঘাঁটি তৈরি হয়েছে বিজেপির। কার্যত নিশীথের হাত ধরে তা সম্ভব হয়েছে। বিধাণসভা নির্বাচনে জিতেও নিশীথ কার্যত তাঁর জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় কোনও ভাবে সাংসদের তৃণমূল যোগ চাপ বাড়তে পারে বিজেপির। এই অবস্থায় নিশীথ প্রামাণিক মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে চলেছে বিজেপি।
২৮ জন মন্ত্রী অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা
অন্যদিকে সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৮১ জন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। সেখানে এই মুহূর্তে মন্ত্রী রয়েছেন ৫৩ জন। অর্থাৎ আরও ২৮ জনকে মন্ত্রী করার সুযোগ রয়েছে। সরকারের প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক কাজের মোকাবিলায় ২৮ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। অপর একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, অন্তত ২০ জন মন্ত্রীর দায়িত্বও পরিবর্তন করা হতে পারে।