রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আত্মসাৎ
তিন গুপ্তা ভাই, অজয়, অতুল ও রাজেশ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমার অধীনে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আত্মসাতের তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রধান তদন্তকারী হারমিওন ক্রঞ্জে জানিয়েছেন যে অতুল ও রাজেশের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিস' জারি করছে। প্রসঙ্গত, রেড নোটিস হল একটি বিশ্বব্যাপী সতর্কতা যা আইন প্রয়োগকারীদের মামলা বা সাজা প্রদানের জন্য অনুসন্ধান করা কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে এবং তাদের প্রত্যার্পণের অপেক্ষায় আটকে রাখতে সক্ষম করে।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত গুপ্তা ব্রার্দাস
এই তিন গুপ্তা ব্রাদার্সরা ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নীতি বিরোধী নজরদারি সংস্থার সন্দেহের তালিকায় ছিল। যারা দাবি করেছে যে এই তিন ভাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় চুক্তির বিনিময়ে ঘুষ দিয়েছিল এবং মন্ত্রী নিয়োগে প্রভাব ফেলেছিল। তারা ২০১৮ সালে বিচার বিভাগীয় কমিশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় এবং তারা এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গতমাসেই দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে আরবের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে।
অজয় গুপ্তার নাম নেই রেড নোটিসে
তৃতীয় ভাই অজয়, যার নাম রেড নোটিসে নেই, সে অবশ্য আলাদা একটি মামলায় অভিযুক্ত। তার অন্যান্য ভাই অতুল এবং রাজেশ গুপ্তা পরিচালিত সংস্থা নুলানে বিনিয়োগ, যা কৃষি সংক্রান্ত কাজ করে, সেখানে আড়াই কোটি র্যান্ড এই অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল যা পরিচালনা করে অতুল গুপ্তার স্ত্রী চৈতালি ও রাজেশের স্ত্রী আরতি। চৈতালির বিরুদ্ধেও রেড নোটিস জারি হয়েছে।
গুপ্তা ব্রার্দাসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জুমা দুর্নীতি দমন তদন্তকারীদের সামনে হাজির না হওয়ায় অবমাননার দায়ে ১৫ মাসের কারাদন্ডের পরে জেলের ঘানি আর টানবে না বলেই এই তিন ভাইকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সহায়তা করবেন বলে জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালে মার্কিন ট্রেজারি গুপ্তা ভাইদের সম্পত্তি মার্কিন আইনানুযায়ী ফ্রিজ করেছিল এবং আমেরিকা পরিচালিত আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কে তাদের লেনদেন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।