৭১ জেলায় পজিটিভিটি অনুপাত ১০%-র বেশি
করোনা গ্রাফের পারদ নিম্নমুখী হওয়ার পর থেকেই লকডাউন লঘু করতে শুরু করেছে দেশের অধিকাংশ রাজ্য। এরই মাঝে শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, "এখনও দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়ে যায়নি।" নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পাল জানান, "সমগ্র দেশ সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সুরক্ষিত নই।" সূত্রের খবর, উড়িষ্যা, কেরল, ছত্তিশগড়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা ও মণিপুরে এখনও প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যা বেশ বেশি। অন্যদিকে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি অনুপাত ৩%-র নীচে নামলেও ৭১টি রাজ্যে এই অনুপাত এখনও ১০%-র অধিক।
১০০ জেলায় দৈনিক আক্রান্ত ১০০
২৬শে জুন থেকে ২রা জুলাই পর্যন্ত একসপ্তাহে গড় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১৩% কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ৩০শে জুন অবধি ৫৬টি ডেল্টা স্ট্রেন কেসের খোঁজ মিলেছে। যদিও সঠিক জিনোম পরীক্ষার অভাবে যে ধরা পড়ছে না সঠিক ডেল্টা আক্রান্তের সংখ্যা, তা স্পষ্ট জানাচ্ছেন গবেষকরা। যদিও ১২টি রাজ্যের প্রায় ৫৬ জনের ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনে আক্রান্ত হওয়ার খবর যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়াবহ, সে বিষয়ে কেন্দ্রকে সাবধান করেছে চিকিৎসকমহল।
ছয় রাজ্যে কেন্দ্রের বিশেষ স্বাস্থ্য দল
এখনই উতরে যায়নি কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঘনঘটা। স্বভাবতই ডেল্টা প্লাসের চোখরাঙানি কমাতে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের ১২টি রাজ্যে পৌঁছেছে কেন্দ্রের বিশেষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দল। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে পুনরায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। যেসকল জেলায় সাপ্তাহিক পজিটিভিটি অনুপাত ১০%-এর অধিক এবং হাসপাতালে ৬০% শয্যায় করোনা রোগীদের অবস্থান, সেইসকল জেলাকে গুরুত্বের চোখে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
ফিরল 'কোভিড কন্টেনমেন্ট প্রোগ্রাম'
পুনরায় ফিরছে 'কোভিড-১৯ কন্টেনমেন্ট প্রোগ্রাম'। এই নিয়মের আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলিতে করোনা শৃঙ্খলা ভাঙতে ২ সপ্তাহের কড়া নিয়মাবলি আরোপ হবে। অন্যদিকে দ্রুত হচ্ছে টিকাকরণের গতি। অবশেষে কেন্দ্রীয় বিশেষ দলের রিপোর্টের জেরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদেরও নিয়ে আসা হল টিকাকরণের আওতায়। পাশাপাশি আগস্টের শেষেই যে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের দাপট শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে সকল রাজ্যকে আগাম সতর্ক করার কাজে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার।