ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। আক্রান্ত নেতারা। কর্মীরা আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া। এই অবস্থায় বারবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি হাইকোর্টও রাজ্য পুলিশও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ঠিক মতো বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা রাজ্য পুলিশ দিতে পারছে না বলে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। এই অবস্থায় আজ সোমবার নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক সারলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তবে কি আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়নি।
আধ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বৈঠক
এদিন সকালে রাজ্য পুলিশের ডিজির অফিসে পৌঁছে যান প্রতিনিধি দলের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে দুজন প্রতিনিধি ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে আধঘণ্টা বৈঠক করেন। নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। এরপর রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলে পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেন দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি এই অবস্থায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা সহ একাধিক বিষয়ে এই বৈঠকে উঠে আসে।
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে প্রতিনিধি দল
ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের মুখবন্ধ একটি খামে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে প্রতিনিধি দল। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে, মানুষের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তবে আরও কিছু জায়গা যাওয়ার প্রয়োজন আছে তদন্তের প্রয়োজনে। সে বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আরও বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।
আট সদস্যের কমিটি গঠন
বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নির্দেশে আট সদস্যের একটি টিম বা দল তৈরি করে কমিটি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন আই বি প্রধান রাজীব জৈনের নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছে এই কমিটি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তদন্ত করবেন তাঁরা। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নির্দেশে তৈরি এই কমিটিতে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন আতিফ রশিদ, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুবেন এল দেশাই, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল সন্তোষ মেহতা, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক প্রদীপ কুমার পাঁজা ও রাজ্য আইন বিভাগের সেক্রেটারি রাজু মুখোপাধ্যায় রয়েছেন। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন আধিকারিক রয়েছেন বিভিন্ন বিভাগ থেকে।